পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ইউক্রেনে বিমান হামলার পর থেকে তৈরি হয়েছে আতঙ্কের পরিবেশ।সুপার মার্কেটে বাড়ছে ভিড়। ডাল, ময়দার মত খাদ্য সামগ্রী মানুষ কিনছে হুড়মুড়িয়ে। একজন জানান, আমরা যখন পৌঁছলাম, ততক্ষণে সবকিছু বিক্রি হয়ে গেছে। তাই আমাদের খাওয়ার মতো আর কিছু ছিল না । বাধ্য হয়ে তাই আমরা ম্যাগি, ফল,পাউরুটি বা জুস কিনে রাখছি।বুঝতে পারছি না আমাদের কী করা উচিত। তবে যা খেয়েছি, এবং সংগ্রহ করেছি তা দু-তিনদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
ইউক্রেনের ইভানোতে আটকেপড়েছেন উত্তরপ্রদেশের বিজনোরের ছাত্রী সানা উর রহমান। সানা উররহমান ইভানো ফ্রাঙ্কউইচ ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল ইউনিভার্সিটির এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ছাত্রী।তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় দূতাবাস বারবার ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছিল। কিন্তু তখনও বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস শুরু করার অনুমতি পায়নি। পরে যখন অনলাইন ক্লাসের অনুমতি দেওয়া হয় তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়।সানা উর বলেন, ” রাতে এখানকার কিছু জায়গায় বিমান হামলা হয়েছে। এরপর থেকেই সুপারমার্কেটগুলো খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে শুরু করেছে। আমরা জানতাম না যে এত তাড়াতাড়ি সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।” ফলে বাজারে মজুত কমে যাচ্ছে দ্রুত।
সানাউর রহমানের রুমেই ছিলেন মিরাটের আর এক পড়ুয়া জসিম নাদিম। তিনি বলেন, “সুপার মার্কেট থেকে সব ছাত্রই তাদের নিজস্ব খাবার নিয়ে এসেছে, কিন্তু কেউ আটা বা চাল পায়নি। এই প্রথম। এমন হয়েছে যে আমরা রুটি কিংবা ভাত না খেয়ে ঘুমাচ্ছি।”
বিজনোরের বাসিন্দা জুবায়ের সিদ্দিকী থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়েই। তিনি এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।তিনি বলেন, ”আমরা একটা রুমে ছ’জন থাকি । এখন এখানে রেশনেরও সমস্যা শুরু হয়েছে । পানীয় জল কমে আসছে । আমাদের কাছে মাত্র ছয় লিটার জল আছে। ট্যাঙ্কের জল লবণাক্ত। তা পান করা যায় না । এছাড়াও সেখানে এটিএমে টাকা নেই, আমরা জানি না এরপর কী হবে।”