পারিজাত মোল্লা: আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে পুলিশের দায়ের করা মামলা। মঙ্গলবার এ বিষয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করছেন। তাঁরা কোথাও কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি করলেই মামলা দিচ্ছে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ। একেক জন চাকরিপ্রার্থীর নামে মামলার পাহাড়! পুলিশ কেসের জেরে শেষে না ওদের চাকরি আটকে যায়। তাই পুলিশের দায়ের করা ওই সব মিথ্যে মামলা থেকে অব্যাহতির আর্জি জানানো হয়েছে।’
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে ওঠে মামলাটি। মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি জানতে চান, ‘নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করে চাকরিপ্রার্থীরা কী বেআইনি কাজ করছে? তারা তো আদালতের নির্দেশ মেনেই প্রতিবাদ ধর্নায় বসেছে।’ জানা গেছে, করোনা সময়কালের একাধিক মামলাও রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, কোভিড প্রটোকল ভঙ্গ করা হয়েছিল। সরকারি আইনজীবী এদিন বলেন, ‘চার্জশিট তৈরি আছে। কিছু মামলায় চার্জ ফ্রেম এর সময় এসে গেছে। তদন্ত চলছে। এখন আর এফআইআর বাতিল করা যাবে না।এরপরই চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা সব মামলার কেস ডায়েরি তলব করেন বিচারপতি।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। সরকারি আইনজীবীর এই যুক্তি খুবই দুর্বল। এফআইআর বাতিলের আবেদনের এটাই সঠিক সময়। আপনি তৈরি হয়ে আসুন। আপনার যুক্তি মানা যাচ্ছে না।’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৮ ডিসেম্বর। চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলায় ওই দিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন বিচারপতি। এখন দেখার মামলাকারী পুলিশ কেস ডায়েরিতে কি উল্লেখ করে?