পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশের সাংসদ খুনে সিআইডির স্ক্যানারে ক্যাব চালক। এই মামলার সূত্র ধরে ওই চালককে তলব করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাকে আটক করে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়। সেইদিনের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তর ধারণা তৈরি করতে ডেকে পাঠানো হয়।
চিকিৎসা করাতে কলকাতায় এসেছিলেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ কেন্দ্রের তিনবারের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। এখানেই রহস্যজনকভাবে খুন হয়েছেন বাংলাদেশের শাসক দলের এই সাংসদ। তবে এখনও পর্যন্ত মৃতদেহের সন্ধান মেলেনি। রাজ্য পুলিশ তিনজন সন্দেহভাজনকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় তীব্র শোরগোল দুই দেশের কূটনৈতিক মহলে।
জানা গিয়েছে, ১২ মে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে তিনি কলকাতায় আসেন চিকিৎসার জন্য। প্রথমে তিনি বরাহনগরের বাসিন্দা সাংসদের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়ি ওঠেন। সেখানে দু’দিন থাকার পর নিউটাউনে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট অস্থায়ীভাবে ভাড়া নেন। কিন্ত ১৬ মে থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে বন্ধু গোপাল বিশ্বাস ১৮ মে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ তদন্তে নামে। নিউটাউনের যে বিলাসবহুল হাউসিংয়ের ফ্ল্যাটে বাংলাদেশি সাংসদকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে, সেখানে তাঁর লাশ পাওয়া যায়নি। কলকাতা পুলিশ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনকে এমনই জানিয়েছে।
তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পৃথক পৃথকভাবে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ভারতের কেউ জড়িত নয় বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ভারতে তার কোনও শত্রু থাকতে পারে— এমন কোনও তথ্য নেই। বাংলদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বাংলাদশের দুষ্কৃতীরাই, সে-বিষয়ে আমরা নিশ্চিত। অনেক তথ্যই আমাদের কাছে আছে, তবে তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১২ মে কলকাতায় আসার পর ১৪ মে থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি আনোয়ারুল। তাঁর ফোনের সুইচ অফ ছিল। শেষ তাঁর মোবাইল ফোনের লোকেশন উত্তরপ্রদেশে পাওয়া গিয়েছিল। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শরণাপন্ন হয়। প্রধানমন্ত্রীর দফতর যোগাযোগ করে দিল্লি ও কলকাতার দূতাবাসের সঙ্গে। ওই সাংসদের খোঁজে তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বিধাননগর পুলিশ। তদন্তে নেমে একাধিকজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁর ফ্ল্যাটে রক্তের দাগ দেখেই পুলিশ খুন নিয়ে নিশ্চিত হয়।