পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : সূচনা শেঠ কাণ্ডে নয়া মোড়। সূচনার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি টিস্যু পেপারের কয়েকটি টুকরো। টিস্যু পেপারটিতে আইলাইনার ব্যবহার করে কিছু লেখা হয়েছিল। পরে সেই টিস্যু পেপারটিকে নির্মমভাবে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলা হয়। তবে সেই নোটে কি লেখা হয়েছিল, সেই সম্পর্কে কিছু জানাতে চায়নি পুলিশ আধিকারিক। লেখাটি সূচনা শেঠের হাতের লেখা কিনা, সেটি জানতে ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সূচনার কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে এই টুকরো করা টিস্যু পেপার। এই ব্যাগটি নিয়েই গোয়া থেকে বেঙ্গালুরুতে ফেরার সময় ক্যাবে উঠেছিল সূচনা।
গত ৭ জানুয়ারি সূচনা শেঠকে কর্নাটকের চিত্রদূর্গ থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয় গোয়ায়। আপাতত পুলিশ হেফাজতে সূচনা। পুলিশের দাবি, সূচনা খুনের কথা স্বীকার করেনি। বেঙ্গালুরুর স্টার্ট কোম্পানির সিইও’ সূচনার দাবি, হোটেলের রুমে ঘুম থেকে উঠে সে ছেলেকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। ৬ জানুয়ারি শিশুপুত্রকে নিয়ে গোয়ায় ক্যান্ডোলিমে একটি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টে ওঠার পর ৭ জানুয়ারি রাতেই বেঙ্গালুরুতে ফিরতে চায় সূচনা। হোটেলের কর্মীদের সূচনা বলে, ‘ক্যাব ডেকে দিন। গোয়ায় সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টের ম্যানেজার জানান, বিমানের থেকে ১০ গুণ বেশি ভাড়া পড়বে ক্যাবে। ৩ হাজার টাকায় বিমানে বেঙ্গালুরুতে ফিরে যেতে পারবেন। শত অনুরোধের মুখে সূচনার জবাব ছিল ক্যাব বুক করে দিন, টাকা নিয়ে ভাবতে হবে না। আমি ক্যাবেই বেঙ্গালুরুতে ফিরব’। কর্মীদের হতবাক করে দিয়ে ৩০ হাজার টাকা ভাড়ায় দিয়ে রাত ১ টায় ট্রলি ব্যাগ নিয়ে ক্যাবে চেপে বসে সূচনা শেঠ। এই হাড়হিম করা কাণ্ডে এখনও খুনের প্রকৃত কারণ সামনে আসেনি।
সূচনা শেঠ সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টের যে রুমে ছিল, সেই রুম থেকে দুটি কাফ সিরাপের বোতল উদ্ধার হয়েছে। ময়নাতদন্তে শিশুটির দেহে কোনও ধস্তাধস্তি ও রক্তক্ষরণে চিহ্ন মেলেনি। পুলিশের অনুমান কড়া ডোজের কাফ সিরাপ খাইয়ে, শিশুটি অচৈতন্য হয়ে যাওয়ার পর তাকে বালিশ চাপা বা কাপড় মুখে গুঁজে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তের পুলিশ জানতে পেরেছে যে সূচনা ৬ জানুয়ারি তার প্রাক্তন স্বামী ভেঙ্কট রমনকে মেসেজ বলে, পরের দিন বাচ্চার সঙ্গে দেখা করতে আসতে পারে। কিন্তু রমন যখন বাড়িতে গিয়ে পৌঁছান তিনি দেখেন, বেঙ্গালুরুর বাড়িতে কেউ নেই।