পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকার, নিক্কি যাদবের খুনের ছায়া এবার হায়দরাবাদে। ৫৫ বছর বয়সি সঙ্গিনীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ৪৮ বছরের এক প্রৌঢ়। খুনের পর মৃতদেহ ছয় টুকরো করে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখে সে। কাটা মাথা ফেলে দেয় নদীতে। তদন্তে নেমে পুলিশ হায়দরাবাদের দিলসুখনগরের বাসিন্দা বি চন্দ্র মোহনকে গ্রেফতার করেছে।
শ্রদ্ধাকে খুনের আগে যে কায়দায় ইন্টারনেট দেখে দেহ লোপাটের কায়দা শিখেছিল আমিন আফতাব পুনাওয়ালা, সেই ভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেই এই খুন। মৃতার দেহাংশের মধ্যে বাড়ির ফ্রিজ থেকে অনুরাধার হাত-পা উদ্ধার হয়েছে। কাটা মাথা উদ্ধার হয়েছে মুসি নদী থেকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম অনুরাধা রেড্ডি। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর গত ১৫ বছর ধরে তিনি ৪৮ বছর বয়সী বি চন্দ্র মোহন নামে তার প্রেমিকের সঙ্গে দিলসুখনগরের বাড়িতে থাকতেন। সেই বাড়িতেই খুন হন অনুরাধা। অভিযুক্ত বি চন্দ্র মোহন ‘অনলাইন ট্রেডিং’ এর কাজ করতেন। অবিবাহিত ছিলেন। বিগত ১৫ বছর ধরে অনুরাধা রেড্ডির সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। অনুরাধা সুদের কারবার করতেন। ব্যবসার জন্য লকডাউনের সময় অনুরাধার কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নেন বি চন্দ্র মোহন। কিন্তু ফেরত দিতে চাননি। সেই নিয়েই চরম অশান্তি শুরু হয় দুজনের মধ্যে। এর পরে প্রেমিকাকে খুনের পরিকল্পনা করে মোহন।
তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অনুরাধাকে খুন করে তার দেহাংশ কেটে ফ্রিজে রাখে মোহন। গত ১২ মে খুনের ঘটনা ঘটে। দু’জনের মধ্যে প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। অশান্তি চরমে ওঠে। সেই সময় অনুরাধার বুকে ও পেটে পেটে ছুরি চালিয়ে দেয় মোহন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অনুরাধার। খুনের জন্য পাথর কাটার মেশিন কিনেছিল মোহন। প্রেমিকার দেহ ৬ টুকরো করে কেটে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে দেহাংশ ফ্রিজে রেখে, মাথা মুসি নদীতে দেহ ফেলে দেয় সে। দুর্গন্ধ ঢাকতে গোটা বাড়িতে সুগন্ধি ছড়িয়ে দেয়।
ঘটনার তদন্তে নেমে ওই বাড়ি এবং এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। জেরার মুখে মোহন খুনের কথা স্বীকার করেছে।