পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কাপড়ে রক্তের দাগ দেখে ছোট বোনকে খুন করল দাদা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দাদার মনে হয়েছিল তার বোন কারুর সঙ্গে সহবাস করেছে। সেই কারণে তার কাপড়ে রক্তের দাগ লেগেছে। জানা গেছে, মৃতার বয়স ১২ বছর। সেইদিনই তার প্রথম ঋতুস্রাব শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে মহারাষ্ট্রের থানেতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বয়স ৩০ বছর। এদিন সে দেখে তার বোনের জামায় রক্তের দাগ লেগে আছে। দেখে তার মনে হয় তার বোন কারুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এর পরেই রাগে উন্মত্ত হয়ে সে তার বোনের উপর চড়াও হয়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, অভিযুক্ত তার বোনের ঋতুস্রাব শুরুর ব্যাপারে কিছুই জানত না। ভুলের পরিণতির শিকার হয় এক ১২ বছরের নাবালিকা। পুলিশ আরও জানিয়েছে, নাবালিকা তার বড় ভাই সহ ভাইয়ের শ্যালকের সঙ্গে থাকত। ঋতুস্রাবের সম্পর্কে তার নিজেরও কোনও ধারণা না থাকায় এই সম্পর্কে সে তার দাদার প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেনি। বোনের কাছে কোনও উত্তর না পেয়ে চিমটে দিয়ে তার ওপর অত্যাচার শুরু করে দাদা। রক্তাক্ত অবস্থায় ১২ বছরের নাবালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকেরা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ঋতুস্রাব নিয়ে এখনও মানুষ যে অজ্ঞানতার অন্ধকারে রয়েছে, এই নৃশংস ঘটনা সমাজের সেই দিকটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।