পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ সম্ভাবনা ছিল। প্রস্তুতিও ছিল। অবশেষে দেশে ফিরলেন যৌন নির্যাতন এবং একাধিক ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্না। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত্রি ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ (বৃহস্পতিবার মধ্য রাতের পর) বেঙ্গালুরুর কেম্পাগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তার বিমান অবতরণ করেছে। এ দিন বিমানবন্দর থেকেই হাসান লোকসভা কেন্দ্রের এই বিদায়ী সাংসদকে গ্রেফতার করে বিশেষ তদন্তকারী দল( সিট)। সংবাদ সংস্থা সূত্রে শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত জানা গেছে, রাত্রি ২টা নাগাদ অশ্লীল ভিডিও মামলায় অভিযুক্ত এই সাংসদকে বেঙ্গালুরু সিআইডি অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে।
এ দিন আগে থেকেই বেঙ্গালুরুতে সিআইডি অফিসের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। নজরদারি ছিল কেম্পাগৌড়া বিমান বন্দরের উপরও। হাসানের সাংসদ এবং ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্রেরই জনতা দল সেকুলারের প্রার্থীকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে দল থেকে। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জানিয়েছিলেন, বেঙ্গালুরুতে নামা মাত্রই পুলিশ গ্রেফতার করবে তাঁকে। সে কারণে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের উপর বাড়ানো হয়েছিল নজরদারি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বল রেভান্না। কিন্তু দেশে ফেরার আগেই বুধবার আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ২৯ মে তার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।
উল্লেখ্য, ৩৩ বছরের প্রজ্জ্বলের বিরুদ্ধে বাড়ির পরিচারিকাদের টানা তিন বছর ধরে যৌন হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠে। তদন্ত শুরু হতেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলেও প্রচারিত। দেশছাড়া প্রজ্জ্বলকে দেশে ফেরাতে একাধিক উদ্যোগ নেয় কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকার। প্রজ্জ্বলের দাদু জেডিএস সুপ্রিমো এইচ ডি দেবেগৌড়া সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই প্রজ্জ্বলের বিরুদ্ধে শাস্তি হবে।“ ভোটের মরসুমে দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তাতে প্রজ্জ্বল বলেছিলেন, ৩১ মে সকাল দশটায় আত্মসমর্পণ করবেন। তাঁর কথায়, “যখন ২৬ মে নির্বাচন হল আমার বিরুদ্ধে কোনও মামলা ছিল না, সিটও গঠন করা হয়নি। বিদেশযাত্রা আগেই ঠিক করা ছিল। সফরে থাকাকালীন অভিযোগের বিষয়টি জানতে পারি।”