পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: আগামী সপ্তাহে স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভগৎ সিংহের জীবনীর উপর ভিত্তি করে একটি নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল। আর সেই নাটকে ভগৎ সিংহের চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল ১২ বছরের সঞ্জয়ের। শনিবার রাতে তখনও উত্তেজনায় ফুটছে সঞ্জয়। আর তার খানিক্ষণ পরেই সব শেষ। পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে ভগৎ সিংহের ফাঁসির দৃশ্যের রিহার্সাল করছিল কোলারের এসএলভি স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সঞ্জয় গৌড়া। এরপরই দড়িতে ফাঁস লেগে মৃত্যু হয় তার। পরিবারের সদস্যরা ফিরে এসে দেখতে পান সঞ্জয়ের নিথর দেহ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
সামনের সপ্তাহে অনুষ্ঠান, তাই স্কুলে জোরকদমে চলছিল নাটকের রিহার্সাল। স্কুলের পাশাপাশি বাড়িতেও খুদে শিল্পীদের রিহার্সাল করতে বলা হয়েছিল। সেইমত বাড়িতে ফাঁসির দৃশ্য রিহার্সাল করতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। দূর্ভাগ্যজনকভাবে ২০২০ সালে একই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের মান্দসউর জেলার প্রিয়াংশ মালব্যের। তারও বয়স ছিল ১২।
মাত্র ২ বছর আগে এই ধরণের ঘটনার সাক্ষী থাকার পরও কেন স্কুল কর্তৃপক্ষ সঞ্জয়কে বাড়িতে রিহার্সাল করার পরামর্শ দিল, তার উত্তর মেলেনি এখনও।স্কুল ছাড়াও প্রশ্ন উঠছে ওই ছাত্রের অভিভাবকদের গাফিলতি নিয়েও। অনেকে মনে করছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের উচিৎ ছিল সঞ্জয়কে সচেতন করা। শুধু মধ্যপ্রদেশ বা কর্ণাটক নয়, তারও আগে এমন ধরণের ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। তারপরেও কেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, তা নিয়ে সরব অনেকেই।
দূরদর্শনের ‘শক্তিমান’ ধারাবাহিকের নায়কের মত ঘুরতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল নব্বইয়ের দশকের বহু ছেলেমেয়ের। এছাড়া দড়ি, প্লাস্টিকের প্যাকেট নিয়ে খেলতে গিয়ে শ্বাসরোধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছে অনেকেই। এই ধরণের ঘটনা এড়াতে বাড়িতে ও স্কুলের শিশুদের ট্রেনিং দেওয়া খুব প্রয়োজন বলে করছে ওয়াকিফহাল মহল।