পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আস্থা ভোটে নিজের কূর্সি সামলে রাখলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রস্তাবের ভোটে জনসনের উপরে আস্থা রাখেন ২১১ জন আইনপ্রণেতা আর বিপক্ষে পড়ে ১৪৮টি ভোট। ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে অনাস্থা ভোটে জয়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কনজারভেটিভ দলের ভেতরে ১৯২২ কমিটির সভাপতি স্যার গ্রাহাম ব্রেডি এই ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন। এই ফলাফলের কারণে আগামী এক বছর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলের মধ্যে থেকে কোন ধরনের অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না।
বরিস জনসন জানিয়েছেন, ‘আমার মতে, এটা দুর্দান্ত, ইতিবাচক, চূড়ান্ত এবং নিশ্চিত ফলাফল। যা আমাদের জোটবদ্ধ হতে সাহায্য করবে।’
জানা গিয়েছে, মন্দা থেকে জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন কারণে একাধিক চাপের মুখে পড়ে বরিস জনসন। বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। এমনকি ২০১৯ থেকে ২০২১ অবধি যিনি দেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন, সেই জেসি নরমান প্রকাশ্যেই বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট চেয়ে প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন। দলের অন্দরেই আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয় বরিস জনসনকে। সকলের লক্ষ্য ছিল আস্থাভোটের দিকেই।
জনসনের পূর্বসূরি থেরেসা মে ২০১৮ সালে আস্থা ভোটের মুখে পড়েছিলেন। সেই সময় তিনি রক্ষা পান। কিন্তু পরে তিনি পদত্যাগ করেন। ২০১৯ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসেন জনসন।
এমনকী প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী জেসে নরম্যান দাবি করেছিলেন, জনসন ব্রিটেনের মসনদে থেকে ভোটার এবং দলকে অপমান করেছেন। যে নরম্যান ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। যে ব্রিটেন এখন মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়েছে। দাম বাড়ছে জিনিসপত্রের।