পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ওয়াল স্ত্রিট জার্নালের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের শেখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান উভয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ফোন ধরতেও তারা অস্বীকার করেন বলে জানা যাচ্ছে।ওয়াকিবহাল মহলের মতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা আক্ষরিক অর্থেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বুমেরাঙয়ের মত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এইক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের ধারণা ছিল তারা পাশে পাবে আরব দুনিয়াকে। সেই আশাতেও এবার জল ঢেলে দিল সৌদি আরব।
পাল্টা সৌদি আরব জানিয়েছে ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট এবং জামাল খাশোগির হত্যাকান্ডের পর যুবরাজ সলম্নের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তা প্রত্যাহার করতে হবে। হুথি বিদ্রোহীদের নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের ভূমিকায় অত্যন্ত অসন্তুষ্ট সৌদি। তাই এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন তেল ইস্যুতে বেকাদায় সময় মত মুখ ফিরিয়েছে আরব দুনিয়াও।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর পর রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা সহ পশ্চিমা দেশগুলি। এর ফলে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করেছে বাইডেন প্রশাসন ।এরপরই বিশ্ব বাজারে দ্রুত বাড়তে থাকে তেলের দাম। বর্তমানে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১৩০ ডলারে গিয়ে ঠেকেছে, যা ১৪ বছরে সর্বোচ্চ। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার পর এখন পরোক্ষ ভাবে সৌদি আরবের ওপর তেলের দাম বাড়ানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।