দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: আদিবাসী নৃত্যে মানুষের মন মেতে ওঠে না, এমন মানুষ বিরল। যেকোন রাজনৈতিক সভার একটি আকর্ষণ আদিবাসী নৃত্য। আদিবাসী নৃত্যের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতা অজানা কারো নয়। তিনি আদিবাসীদের জন্য জয় জোহর সহ অনেক কিছু করেছেন।
রাজনৈতিক সভায় আদিবাসী নৃত্যের তালছন্দে মুগ্ধ করে, পেট চালায় মহিষডাল মার্শাল ডাহার আদিবাসী নৃত্য দল। ঘাত বাদ্য শ্রীখোলের সঙ্গে যেমন গাব। তেমনি হলো কোন রাজনৈতিক আদিবাসী নৃত্য। দুটিকে আলাদা করা যায় না। প্রায় সমস্ত সভায় ডাক পড়ে এই নৃত্য দলের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার পর আদিবাসী নৃত্য সহ সমস্ত লোক শিল্পের প্রসার ঘটেছে। তারপর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক সভায় তাদের ডাক পড়ে। এরকমই একটি হলো মহিষডাল মার্শাল ডাহার আদিবাসী নৃত্য দল। এই নৃত্য দলের বাড়ি বোলপুরের মহিষডাল।
এই নৃত্য দলের নেতৃত্বে আছেন পাঁচু সরেন। পাঁচু সরেন, বাকলু সোরেন সহ ষোলো জনের দল। তার মধ্যে বাকলু সোরেন সহ বারো জন মহিলা এবং চারজন পুরুষ। এই পুরুষেরা তালবাদ্য বাজান এবং আদিবাসী মহিলারা পায়ে পায়ে নৃত্য করেন। পায়ে পায়ে নৃত্যর তাল শুধু মন হরণ করে না, চলে তাদের সংসার। মাথায় ধাতব কলস নিয়ে তারা নৃত্য করেন।
জানা গেছে, নৃত্যের পারিশ্রমিক হিসেবে এক এক জন হাজার টাকা হিসেবে মোট ষোলো হাজার টাকা পান বলে জানান নৃত্য দলের নেতা পাঁচু সোরেন। পাঁচু সোরেন বলেন, রাজনৈতিক সভায় আমাদের ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা সব রাজনৈতিক দলের ডাকেই যাই এবং পয়সার বিনিময়ে নৃত্য করি। তবে আজকে এসেছি আমাদের দিদির জন্য। তিনি আমাদের নাচ দেখে খুশি হবেন এটাই আমাদের চরম প্রাপ্তি। আমরা দেখেছি, অনেক সময় অনেক জায়গাই আমাদের পায়ে পায়ে পা মেলান তিনি।