দেবশ্রী মজুমদার, বীরভুম: বীরভূম লোকসভার অন্তর্গত হাঁসন বিধান সভায় বিনোদপুর সভা মঞ্চে দুর্যোগের কারণে অভিষেক মঞ্চে উপস্থিত থাকতে না পারলেও, ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। কালীঘাট থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতায় অভিষেক বলেন, বিগত তিন মাস চার মাস ধরে বাংলাকে যেভাবে কলুষিত করার এদের নির্লজ্জ পরিকল্পনা জন সমক্ষে চলে এসেছে। সন্দেশখালির যে বেলুন তাতে আলপিন ফুটে গেছে। সন্দেশখালি নিয়ে যারা গলা ফাটাতো এবং মিথ্যে একটা খবর তৈরি করে ষড়যন্ত্র মূলক বাংলাকে কলঙ্কিত করার যে নির্লজ্জ প্রচেষ্টা বা চক্রান্ত আজ জন সমক্ষে চলে এসেছে।
বিজেপির প্রকৃত রূপ মানুষ দেখতে পেয়েছে। সন্দেশ খালি সামনে রেখে যে ভিডিও জন সমক্ষে এসেছে, সেখানে বিজেপির সন্দেশখালি দুই ব্লকের মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল বলছেন, এখানে কোনো নির্যাতন হয় নি। কোনো ধর্ষণ হয় নি। আমরা ইচ্ছে করে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ জমা দিয়ে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে বিজেপি দুই চারটা ভোটের জন্য বাংলাকে একশো চল্লিশ কোটি ভারতবাসীর কাছে ছোট করেছে। বিজেপি যাকে সন্দেশখালিতে প্রার্থী করেছে সেই রেখা পাত্রর একটি ভিডিও জন সমক্ষে এসেছে।
সেখানে বলছেন, যারা অভিযোগ করেছেন তাদেরকে না নিয়ে গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যাদেরকে নিয়ে গেছে তাদের সঙ্গে আন্দোলনের কোনো যোগাযোগ বা যোগসূত্র ছিল না। বিজেপির বসিরহাটের পাত্রী যার সঙ্গে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন, এবং যিনি দুই হাজার টাকা নিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়েছেন গঙ্গাধর কয়ালের কথায়, সেই রেখা পাত্র বলেছে যে বিজেপি যাদেরকে রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে গিয়েছে, তাদেরকে সাজিয়ে নিয়ে গেছে। তারা আন্দোলনের লোক নয়। এটা আমার কথা নয়। বিজেপির একজন নেতা সন্দেশ খালি ঘটনা সামনে আসবার পরে যেখানে পথসভা করে সন্দেশ খালির প্রতিবাদে মায়েরা গর্জে উঠেছিল। সেখানে কী ধরনের অশালীন শব্দ বন্ধ ব্যবহার করেছিল আপনারা দেখেছেন। নারীদের সম্মান নিয়ে কথা বলে। যারা নারীর ক্ষমতায়ণ নিয়ে কথা বলেন, বিজেপির মডেল আজকে দেখুন, কুস্তিগীরের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে সেই ব্রিজভূষণের ছেলেকে বিজেপি লোকসভায় প্রার্থী করেছে।
অভিষেক ভার্চুয়াল মোডে বলেন, এসএসসি নিয়ে এরা বলেছিল, এমন বোমা বিস্ফোরণ হবে তৃণমূল দলটা বেসামাল হয়ে যাবে। এই যে মানুষের চাকরি খাওয়া, এই যে ষড়যন্ত্র সেটাই সুপ্রিম কোর্ট সেই বেলুনে আলপিন ঢুকিয়ে দিয়েছে। এদের বাড়া ভাতে কার্যত ছাই দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট যে অর্ডার দিয়েছিল যে পঁচিশ হাজার জনের চাকরি বাতিল, সেই বাতিলের অর্ডারের উপর সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। আমরা মনে করি, বিচার ব্যবস্থায় এখনও মেরুদণ্ড সোজা রাখার মানুষজন রয়েছে বলে দেশটা বেঁচে আছে।