দেবশ্রী মজুমদার, তারাপীঠ: দফা বাড়িয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনী এনেও বিজেপি ধরাশায়ী হবে, শেষ হাসি হাসবে তৃণমূল। কেন্দ্র সরকার পারলে বুথ প্রতি দফা করবে। তা করুক। শেষ হাসি হাসবে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সারা রাজ্যে এক দফায় ভোট হলে মানুষের ভালো হতো। যদিও প্রতিক্রিয়ার সময় কমিশন সাত দফার কথা ঘোষণা করেনি। তবুও দফা যে বাড়তে পারে তা অনুমান করেই এমন মন্তব্য করেন বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায়। তারাপীঠে মা তারার পুজো প্রচার শুরু করলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। প্রতিবারের মতো এবারও তিনি পুজো দিয়ে প্রচার করেন। পাথর চাপুড়িতেও চাদর চড়ান।
এদিন সন্দেশখালি প্রসঙ্গে শতাব্দী বলেন, ভালো কাজ এত বেশি যে মানুষ ভালোর দিকেই নজর দেবে। ভুল ত্রুটির থেকে ভালো কাজ অনেক আছে। মানুষ সেটাই খেয়াল রাখবে। নির্বাচনের পর ভোট বাক্স খুললে বোঝা যাবে। তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কে প্রার্থী হবে সে ব্যাপারে তিনি কোনভাবেই চিন্তিত নন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালো বাসার মানুষ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার নতুন প্রজন্মকে নামিয়ে দেওয়া ভালো ফল করবে। ইতিহাস বলছে, প্রতিবার লিড বাড়ছে।
রামপুরহাট শহর প্রসঙ্গে শতাব্দী বলেন, ছ’ফুকো থেকে গোটা শহরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা উন্নয়ন করেছেন। এরপর মানুষ যা বলার বলবেন। একইভাবে খয়রাসোল বা মুরারই প্রসঙ্গে উচ্ছ্বসিত শতাব্দী রায়। পুজোর আগে ছয় হাজার বোনাস ঘোষণা প্রসঙ্গে শতাব্দী বলেন, কেন্দ্র সিএএ করে মানুষকে তাড়াতে চাইছে। সেখানে তৃণমূল মানুষের পাশে আছে। মানুষই এর বিচার করুক।
দুই হাজার নয় সাল থেকে এক টানা জিতে চলেছেন তিনি। নিজেকে বীরভূমের মানুষ বলে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডল যে একজন ভালো সংগঠক ছিলেন সেকথা নিজ মুখে স্বীকার করেন তিনি।