পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির গড়ে তোলার আন্দোলনে পুরোধা ছিলেন গেরুয়া শিবিরের ‘লৌহ-পুরুষ’। মসজিদ ভাঙার দায়ে মামলা পর্যন্ত হয়েছে তাঁর নামে। অথচ রাম মন্দির উদ্বোধনের প্রারম্ভিক অনুষ্ঠানে থাকছেন না সেই এলকে আডবাণী। শুধু তাই নয়, রাম মন্দির আন্দোলনের অন্যতম মাথা মুরলী মনোহর যোশীও থাকবেন না অনুষ্ঠানে। সোমবার সাংবাদিক’দের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই ।
এদিন রাই জানান, বয়স ও স্বাস্থ্যজনিত কারণের জন্য উভয়কেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে না আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। অনুরোধ গ্রহণ’ও করেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, বৃহত্তর গেরুয়া শিবিরের প্রবীণ নেতা আডবাণী কিছুদিন আগেই ৯৬ বছরে পা দিয়েছেন। অন্যদিকে মুরলী মনোহর যোশীর বয়স ৯০ বছর। বর্তমানে সুস্থ থাকলেও বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁদের উক্ত অনুষ্ঠানে যোগদান করতে নিষেধ করা হয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এদিকে চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত তড়িঘড়ি লালকৃষ্ণ আডবানির বাসভবনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতৃত্ব।
তবে ইতিমধ্যে প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে, শুধুই কি বয়জনিত কারণেই দুই প্রবীণ নেতাদের ব্রাত্য করা হয়েছে ? নাকি এর পিছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনও কারণ। কারণ মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ক্রমশই কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছে আডবাণী, যোশীদের। কার্যত মাগদর্শক করেই রেখে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। এর আগেও অযোধ্যা রামমন্দিরের ভিত্তি প্রস্তরের দিনে আন্দোলনের অন্য নেতা-নেত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সেখানেও ‘সেন্টার অফ অ্যাট্রাকশন’ ছিলেন মোদি একাই। যদিও গেরুয়া শিবিরের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, প্রবীণ দুই নেতা নিজে থেকেই অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।