পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্য নিয়ে আলোচনা চলছিল সংসদের অধিবেশনে। হঠাৎই বিএসপি সাংসদ দানিশ আলির দিকে আঙুল উঁচিয়ে তাঁকে ‘সন্ত্রাসবাদী’, ‘ঘুসপেটিয়া’ বলে সম্বোধন করেন বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি।দানিশ আলি সংখ্যালঘু বলেই তাকে এভাবে ভরা সংসদভবনে অপদস্ত করা হয়। কৌশলে ওই ঘটনার ভিডিয়ো সংসদের রেকর্ড থেকেও মুছে দেয় শাসক, বিজেপি।এই ঘটনার নিন্দা জানায় দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা।এথিক্স কমিটির কাছে নালিশও করা হয়।কমিটি ডেকে পাঠালেও প্রথমে সাড়া দেননি বিধুরি।তবে বৃহস্পতিবার কমিটির ডাক এড়াননি তিনি। সেখানে গিয়ে কমিটির সামনে তিনি বলেন, তার মন্তব্যের জন্য সংসদে ক্ষমা চেয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এরপর তিনি বলেন, ‘দানিশ সম্পর্কে আমি যা বলেছিলাম, তার জন্যে আমি লজ্জিত’। অবশ্য তিনি যখন ক্ষমা চেয়েছেন, তখন দানিশ আলি সেখানে আদৌ উপস্থিত ছিলেন না।
এদিন দানিশ আলিকেও আলাদা করে ডাকা হয়েছিল।তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করেছেন। দানিশ জানিয়েছেন, তিনি কখনই প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করেননি।
সেপ্টেম্বরের ঘটনার জন্য হঠাৎ কি মনে করে ৭ ডিসেম্বর ক্ষমা চাইলেন রমেশ বিধুরি, তার ব্যাখ্যায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ৮ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বহিষ্কারের রিপোর্ট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার ওম বিড়লা। এই সময় রমেশ ববিধুরিকে নিয়ে প্রশ্ন করত বিরোধীরা। তার কটু কথার জন্য কি পদক্ষেপ নিয়েছে এথিক্স কমিটি আর নিয়ম নীতি কি শুধুমাত্র বিরোধী সাংসদদের জন্যেই এই অস্বস্থিকর প্রশ্ন এড়াতেই বিধুরিকে দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করিয়ে নেওয়া হল বলে মত, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।