পুবের কলম,ওয়েব ডেস্ক: সরকারি কর্মচারীদের জন্য ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ নীতি চালু করছে মণিপুর সরকার। অফিসে না এলে এবার থেকে বেতন কাটা যাবে উত্তর পূর্ব রাজ্যের সরকারি কর্মীদের।
রাজ্যের চলমান পরিস্থিতির কারণে যারা অফিসে কাজে যোগ দিতে পারছেন না, তাদের তালিকা তৈরি করার জন্য সাধারণ প্রশাসন বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে জিএডি সেক্রেটারি মাইকেল আচম এর তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, ‘১২ জুন মুখ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক এবং কার্যধারার ৫-(১২) অনুচ্ছেদে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে, সমস্ত কর্মচারী যারা তাঁদের বেতন সাধারণ প্রশাসন বিভাগ, মণিপুর সচিবালয় থেকে পান তাঁরা অনুমোদিত ছুটি ছাড়া অফিসে হাজিরা না দিলে তাদের জন্য ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ নিয়ম কার্যকর হতে পারে।’
প্রত্যেক কর্মীর উপর নজর রাখতে কর্মীদের নাম, ঠিকানা, পদ এবং ‘এমপ্লয়ি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর’ চেয়ে পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিব।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর বিক্ষোভ-মিছিল ঘিরে উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে।
মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষ ঠেকাতে গত ৬ মে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। নামানো হয় সেনা এবং অসম রাইফেলস বাহিনীকে। সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির ভার দেওয়া হয়েছে সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহকে। তাঁর অধীনে এডিজিপি (ইন্টেলিজেন্স) আশুতোষ সিংহ সমগ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার ‘অপারেশনাল কমান্ডার’ হিসেবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু তাতেও তেমন ফল মেলেনি।