উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলি : তৃণমূল চাইলে বিজেপি কুলতলি কেন দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলাতেই ঢুকতে পারতো না। আমরা এটা করি না।আমাদের দলনেত্রী চান বিরোধীরাও সমানভাবে জনসভা করুক। এটাই ওদের আর আমাদের মধ্যে পার্থক্য।বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতে আমাদের সভা করতে দেয়নি বিজেপি। গুন্ডা দিয়ে আমাদের মারধর করেছিলো। কুলতলিতে এসে বিজেপির সভাপতি কুলতলির বিধায়ককে তুই তোক্কারি করে গেল।’ শনিবার তাই কুলতলি এসে তীব্র ভাষায় বিজেপির সমালোচনা করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এদিন কুলতলির জামতলায় প্রতিবাদ সভা ছিলো তৃণমুলের। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সভার তিনদিনের মাথায় পালটা সভা করলল তৃণমূল এদিন।এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বিধায়ক শওকত মোল্লা ও কুলতলির বিধায়ক গনেশ মন্ডল। কুলতলিতে এসে বিধায়ক গনেশ মন্ডলকে দুর্নীতির অভিযোগে জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়ে গেছেন সুকান্ত।আর তারই পালটা এই সভায় শনিবার বিজেপিকে তুলোধনা করেন শওকত মোল্লা ও গনেশ মন্ডল ও সুন্দরবন জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিধায়ক জয়দেব হালদার।
শওকত মোল্লা জানান এই জেলায় তৃণমুলের বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকতেই পারবে না বিরোধীরা। জেলার সবকটি লোকসভা আসন যাদবপুর, জয়নগর, মথুরাপুর ও ডায়মন্ডহারবার সহ সবকটি আসনই তৃনমুলই জিতবে বলে জানান। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যেই দাঁড়াক তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী এও বলেন বিজেপি আগামী একশো বছরের ও কুলতলিতে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আর সুকান্ত মজুমদার যতবার কুলতলিতে আসবে তত ভোট বাড়বে কুলতলিতে তৃণমূল কংগ্রেসের।এদিন এই সভায় বহু তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।