দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: মুরারইয়ে রামনবমীর শোভাযাত্রায় তাল কাটলো বিজেপির। কর্মসূচী ছাড়া অস্ত্র হাতে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় বিজেপি প্রার্থী। পাশাপাশি, অস্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রায় নিষেধ আছে আদালতের। কিন্তু তাতে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাম নবমীর শোভা যাত্রায় পা মেলাতে দেখা গেল বীরভূম লোকসভার বিজেপি প্রার্থীকে।
জানা গেছে, বেলা সাড়ে ১১ টা নাগাদ মুরারইয়ের ভাদীশ্বর মোড়ে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর গাড়ি থেকে নামতেই বাধা দেন ওসি মহম্মদ সাকিব সাহাব, বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী। তাদের দাবি বিজেপি প্রার্থীর মুরারইয়ের কোন কর্মসূচী আগে জানাননি। তাই মিছিলের সঙ্গে যেতে দেওয়া হবে না। দেবাশিসবাবু বলেন, “আমরা কোন দলীয় পতাকা নিয়ে আসিনি। কোনরকম প্রচার করব না। শুধুমাত্র স্টেশন সংলগ্ন রাম মন্দিরে প্রনাম করব। কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে যান বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, প্রার্থী দেবাশিস ধর সহ বিজেপি কর্মীরা। এরপরেই জোর করে তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ এবং বিডিও। দুই অফিসারের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত এবং নির্বাচন কমিশনে দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দিয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধর বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, দেবাশিস ধরকে এবং বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহাকে ফোন করা হলে, তিনিও ফোন ধরেন নি। অন্যদিকে, অভিযোগ, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশাসনের উপস্থিতিতেই এদিন শোভাযাত্রায় এক ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নাচতে দেখা যায়।
এই সমস্ত্র অস্ত্রবাহকদের সামনেই নাচতে দেখা যায় তৃণমূলের কয়েকজন কর্মীদেরও। এব্যাপারে জানতে ডেপুটি স্পীকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুরসভার চেয়ারম্যানকে বার বার ফোন করা হলেও তারা ফোন ধরেননি। সংবাদ মাধ্যমের কাছেও এনিয়ে মুখ খুলতে চাননি ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃণমূল নেতা সৈয়দ সিরাজ জিম্মি জানান, রামপুরহাট পুরসভা কোনো শোভাযাত্রা আয়োজন করে নি। একটি ক্যাম্প করে। যেখান থেকে শুধুমাত্র লাড্ডু, মিহিদানা বিলি করা হয়। কোনো শোভাযাত্রা আয়োজন করে নি।
বুধবার ছিল রাম নবমী অনুষ্ঠান। বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও রাম নবমী উদযাপন কমিটির নাম দিয়ে বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় শোভাযাত্রা বের করা হয়।
এক সময় বিজেপি প্রভাবিত বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন এই শোভাযাত্রার আয়োজন করত। রামনবমী ইস্যুতে বিজেপি আলাদা ডিভিডেন্ট পাচ্ছিল। সেটা লক্ষ্য করেই বছর তিনেক আগে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে শোভাযাত্রায় অংশ নেয় তৃণমূল। কারো কারো দাবি, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।