পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বিজেপির প্রশ্নের মুখে রাহুল গান্ধি। লোকসভা আবহে প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্যে বিতর্কে অংশ নিতে রাজি হন জাতীয় কংগ্রেস নেতা। সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রকাশ্যে মুখোমুখি বিতর্কসভায় অংশগ্রহণ করেন। যাকে সেখানকার রাজনৈতিক পরিভাষায় বলা ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট’। সেই আঙ্গিকেই সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন বি লোকুর, হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এপি শাহ এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক এন রাম এক বিতর্কসভার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাহুল গান্ধিকে।
দুই প্রাক্তণ বিচারপতি এবং সাংবাদিক ৯ মে তারিখের একটি উল্লেখ করেন, প্রতিটি পক্ষের দ্বারা উত্থাপিত অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, “আমরা বিশ্বাস করি যে একটি নির্দলীয় এবং অ-বাণিজ্যিক প্ল্যাটফর্মে একটি প্রকাশ্য বিতর্কের মাধ্যমে আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে সরাসরি শুনলে নাগরিকরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।”
একদিন পরে এই আমন্ত্রণের জবাবী চিঠি দেন রাহুল। সামাজিক মাধ্যমে চিঠিটি প্রকাশ্যে আনেন কংগ্রেস নেতা। চিঠিতে রাহুল বলেন, “আমি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে আপনার আমন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা সম্মত যে এই ধরনের বিতর্ক নাগরিকদের আমাদের নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে সাহায্য করবে।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান দল হিসেবে, জনগণ তাদের নেতাদের কথা সরাসরি শোনার যোগ্য। তদনুসারে, আমি বা কংগ্রেস সভাপতি এই ধরনের বিতর্কে অংশ নিতে পেরে খুশি হবো”
মোদি এখনও রাহুলের চ্যালেঞ্জের জবাব না দিলেও, তাঁর হয়ে আসরে নেমেছেন স্মৃতি ইরানি। ২০১৯-এ আমেঠিতে রাহুলকে হারানো স্মৃতি বলছেন, “যে বিজেপির এক সামান্য কর্মীর বিরুদ্ধে লড়তে না পেরে নিজের পুরনো দুর্গ ছেড়ে ভয়ে পালায়, তাঁর এত লাফালাফি করা উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই স্তরে বসে বিতর্কে যোগ দিতে চান, কে তিনি? তিনি কি ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী?”