পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া তার হামলা চালিয়ে চলেছে। গতকালই হামলার শিকার হয়েছেন একভারতীয় পড়ুয়া। তার পরে আরও তৎপরতার সঙ্গে সামরিক বিমান সি-১৭ কে উদ্ধারকার্যে পাঠিয়েছে ভারত সরকার। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে আগামী তিন দিনে ইউক্রেনের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর বিভিন্ন বিমানবন্দরে পাঠানো হচ্ছে মোট ২৬টি বিমান। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে মোদি সরকার।
এদিকে ইউক্রেনের উপর রাশিয়া হামলা শুরু করার পর থেকেই বারংবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়াকে যুদ্ধের পথ থেকেও সরে আসতে বলেছিলেন। কিন্তু সেই পরামর্শ কানে তোলার প্রয়োজন মনে করেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার প্রথমবার ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পুতিনকে স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়ে তিনি রাশিয়ার বিমানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কড়া ভাষায় মস্কোর সমালোচনা করে বাইডেন জানান, ইউক্রেনের পাশেই রয়েছে আমেরিকা। তবে মার্কিন সেনা এই যুদ্ধে অংশ নেবে না বলেও তিনি জানান।
ভ্লাদিমির পুতিনকে ইঙ্গিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘স্বৈরশাসকদের যখন কোনও মূল্য পরিশোধ করতে হয় না, তখন তারা আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। ’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউক্রেন আক্রমণের জন্য ভ্লাদিমির পুতিন একাই দায়ী। রুশ নেতাকে এজন্য চড়া মূল্য চোকাতে হবে।
বাইডেন বলেন পুতিনে এই অপ্রত্যাশিত আক্রমণ নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকে আরও বিচ্ছিন্ন করবে এবং এর অর্থনীতিতে আরও চাপ তৈরি করবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ প্রসঙ্গে বলেন, রাশিয়ার মুদ্রা রুবল এবং দেশটির স্টক মার্কেট ইতিমধ্যে যথাক্রমে তাদের মূল্যের ৩০% ও ৪০% হারিয়েছে। বাইডেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
‘পুতিন ট্যাঙ্ক নিয়ে কিয়েভকে ঘিরে ফেলতে পারেন, কিন্তু তিনি কখনই ইউক্রেনের জনগণের হৃদয় ও মন জয় করতে পারবেন না। ছয় দিন আগে রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বের ভিতকে নাড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার গণনা ভুল ছিল।
বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকা সর্বসম্মতভাবে ইউক্রেনের পাশে রয়েছে, তবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের মাঝে মার্কিন বাহিনী জড়াবে না।’।