ইনামুল হক, বসিরহাট: ফের এনআরসি, সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার লোকসভা নির্বাচনের চার দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে বসিরহাট স্টেডিয়ামের জনসভার মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন আছে বাংলার মানুষ এনআরসির টিকি পর্যন্ত দেখতে পাবেন না। আমরা বাংলায় এনআরসি করতে দেব না। এটা জনগণের প্রতি আমাদের কমিটমেন্ট। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি উল্লেখ করে বলেন, উনি বলেছেন প্রথমে সিএএ, পরে এনআরসি। যদি তার সৎসাহস থাকে তো প্রকাশ্য জনসভায় এসে সাফাই দিয়ে বলুক এনআরসি হবে না। অসমে এনআরসি করে ১৯ লক্ষ বাঙালি হিন্দুর মধ্যে ১২ লক্ষ বাঙালি হিন্দু নাগরিকত্ব হারিয়েছে। সেখানে তো বিজেপির সরকার। এদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী যে এভাবে মিথ্যা বলতে পারে, তা আমার জানা ছিল না। আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম বিজেপিকে ২০২১-এ বাংলার বিধানসভায় হেরে যাওয়ার পর, মুখ থুবড়ে পড়ার পর ২০২১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ২০১৭-১৮ বর্ষে আবাস যোজনার যে সমীক্ষা গুলি হয়েছিল। তা থেকে বাংলার মানুষের বাড়ির জন্য যদি ১০ পয়সা প্রকাশ করে থাকে, আমি রাজনীতির আঙ্গিনায় পা রাখবো না। আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম ২০২১ সালের পরে এই দুটো অর্থবছরে কেন্দ্র থেকে একশো দিনের কাজের জন্য যদি ১০ টাকাও বরাদ্দ করে থাকে, আমি তৃণমূলের হয়ে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাব না। আজ দেড়শ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও কোন বিজেপির নেতা ছোট, বড় মেজো, মাঝারির সাহস হয়নি, আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে শ্বেতপত্র প্রকাশ করার। এরা আবার বাংলার মানুষকে গ্যারান্টি দেয়।যারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারে না তাদের গ্যারান্টি দেওয়ার অধিকার নেই। তাদের মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার অধিকার নেই।
তিনি আরও বলেন, মোদিজীর গ্যারান্টি মানে বৈষম্য- বিভাজনের গ্যারান্টি, টাকা বন্ধের গ্যারান্টি, দুর্নীতিগ্রস্তদের ধরে বিজেপিতে ঢোকানোর গ্যারান্টি। মোদিজীর গ্যারান্টি মানে বাংলার মানুষকে অত্যাচারিত, শোষিত, নিপীড়িত করে রাখার গ্যারান্টি। আর মমতা ব্যানার্জির গ্যারান্টি মানে মানুষকে শক্তিশালী করে তুলতে তার হাতে পরিষেবা আর টাকা পৌঁছে দেওয়ার গ্যারান্টি।