দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম: বোর্ডের প্রস্তাবকে নির্দেশিকা মনে করাতে প্রভিশনাল ক্লাস রুটিনে অসুবিধা। জানা গেছে, নতুন টাইম স্লটে শিক্ষক শিক্ষিকাদের অসুবিধা। স্কুলে নটায় আসছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। সাড়ে নটায় আসছে পড়ুয়ারা। তার ফলে দূর দূরান্তের অনেকেই খাবার সময় পাচ্ছেন না। এছাড়াও নবম ও একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস দশটায় শুরু। দশটা চল্লিশে ক্লাসের ঘন্টা। আবার দ্বিতীয় ক্লাস শুরু হয়ে তা শেষ হবে এগারোটা কুড়িতে। অন্যদিকে, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস শুরু এগারোটা থেকে। দ্বিতীয় ক্লাস শুরু এগারোটা চল্লিশে। এভাবে টাইম স্লটের ভিন্নতায় ঘন্টা নিয়ে বিভ্রান্তি। আবার প্রভিশনাল ক্লাসের টাইম স্লটের ভিন্নতায় শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের সমস্যা প্রচূর। তাছাড়া টিফিন সময় মাত্র দশ মিনিট।
এব্যাপারে সন্তোষপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মানছি নতুন সিস্টেমে টাইম স্লটে প্রভিশনাল পিরিয়ড ও ঘন্টা নিয়ে অসুবিধা হচ্ছে। দূর দূরান্তের শিক্ষক শিক্ষিকাদের না খেয়ে নটায় স্কুলে হাজির হওয়া অসুবিধা হচ্ছে। তবে বুঝতে ভুল হচ্ছে। এই নিয়ম কিন্তু অর্ডার নয়। একটা প্রস্তাব মাত্র। টাইম স্লটের অসুবিধার জন্য আমার স্কুলে একটু সময়ের হেরফের করে টাইম স্লটের মধ্যে গণ্ডগোল রুখতে পেরেছি। তবে সব কিছুর মধ্যে ভালো স্কুল শুরু হলো। পড়ুয়া থেকে সবার স্কুলে আসার অভ্যাস বজায় রাখা জরুরি ছিল। উপস্থিতির হার এখন কম। মনে হয় ধান কাটার জন্য হয়তো এখন সব সবাই আসছে না। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে অনলাইনে ক্লাস গ্রাম বাংলায় মূল অসুবিধা নেট ওয়ার্কের।
জানা গেছে, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের আধার লিঙ্ক সম্পূর্ণ হলেও কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য নেই বিভাগীয় দফতরের বা স্কুলেও নেয় কোনো নির্দেশিকা।
বীরভূম জেলা স্কুল পরিদর্শক সুখলাল হাঁসদা বলেন, “প্রথমেই বলি, টাইম সিডিউল যেটি প্রতিটি স্কুলে পাঠানো হয়েছে শিক্ষা দফতরের নির্দেশে তা প্রস্তাব আকারে পাঠানো হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ তা ঠিকঠাক ভাবে প্রয়োজন ভিত্তিতে সাজিয়ে নেবে। আর দ্বিতীয় কথা হলো শিক্ষা পোর্টালের জন্য আধার লিঙ্ক আপলোড করতে বলা হয়েছিল। এর সাথে কোভিড ভ্যাকশিনের আলাদা কোনো সম্পর্ক নেই।