পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আজ পর্যন্ত নিজেদের বায়ার্ন মিউনিখকে তাদের ঘরের মাঠে হারাতে পারেনি বার্সেলোনা। স্বাভাবিকভাবে বাঁচা-মরার ম্যাচে গ্রুপ পর্ব পেরোতে কাতালান ক্লাবটিকে লিখতে হত নতুন ইতিহাস। কিন্তু সেই কাজে ব্যর্থ হল তারা। বায়ার্ন মিউনিখের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ এরিনাতে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে বার্সা।আর তাতেই দীর্ঘ ২১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে বার্সা। এই হারে দুই দশক পর ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ টুর্নামেন্ট থেকে ইউরোপা লিগে নেমে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হল বার্সেলোনার। একই গ্ৰুপের অন্য ম্যাচে ডায়নামো কিয়েভকে ২-০ গোলে হারিয়ে রানার্সআপ হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে বেনফিকা। গ্রুপে ছয় ম্যাচের সবকটিতে জিতে বায়ার্নের পয়েন্ট ১৮। সেখানে রানার্সআপ বেনফিকার পয়েন্ট ৮। ৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় বার্সেলোনা।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুর ভাগে বায়ার্নের পারফরম্যান্স ছিল বেশ সাদামাটা। ২৭তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম নিশ্চিত সুযোগ পায় বায়ার্ন। মুলারের ক্রস ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগানকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায় দূরের পোস্টে গোলমুখে থাকা রবার্ট লেওনডস্কির পায়ে। তবে আগেই একটু বেশি এগিয়ে যাওয়া পোলিশ ফরোয়ার্ড প্রয়োজনীয় টোকাটা দিতে পারেননি। ৩৪ মিনিটে বাম দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে জেরার্ড পিকের বাধা এড়িয়ে ছয় গজ বক্সে ক্রস বাড়ান লেওনডস্কি। মুলারের নেওয়া হেড অবশ্য ঠেকিয়ে দেন রোনাল্ড আরাউহো। তবে গোললাইন প্রযুক্তিতে দেখা যায়, বল আগেই গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছিল। সেটি গোল ছিল। এর মাধ্যমে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় মুলারের গোল ৫০টি, যেটা জার্মান খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে বার্সেলোনার বিপক্ষে সর্বোচ্চ গোলের কীর্তিও গড়লেন তিনি, ৮টি। ৪৩তম মিনিটে অনেক দূর থেকে নেওয়া জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সানে। বার্সেলোনার জালে শেষ গোলটি ঠেলেন জামাল। ৬২তম মিনিটে বাঁ দিকের বাইলাইনের ওপর থেকে আলফন্সো ডেভিসের বাড়ানো বল ছয় গজ বক্সে পেয়ে জালে পাঠান তিনি। একইসঙ্গে নিশ্চিত করেন দলের বড় জয়।