পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : গুজরাতের ভাদোদরায় লোকালয় ঢুকে পড়ল কুমির। অবিরাম বৃষ্টিতে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে। বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে নদীর জল। এর পরেই সেই জলের স্রোতে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে কুমির। আশ্রয় খুঁজতেই নিকাশি নালার মধ্যে লোকালয় চলে আসে তারা।
বিশ্রামিত্রী নদীর উপকূলে জল উপচে পড়তেই কুমির জলের স্রোতে বাইরে বেরিয়ে আসে। সেখানেই রয়েছে বহুতল আবাসন। স্থানীয়দের অভিযোগ এই কুমিরগুলি তাদের ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারে। বেশির সময় তাদের আক্রমণের শিকার হয় পথচারীরা।
ইতিমধ্যেই বন্যপ্রাণী বিভাগের তরফ থেকে এই কুমিরগুলি ধরতে একটি টিম তৈরি করা হয়েছে। প্রতি বছর বর্ষাকালে গুজরাতের ভাদোদরায় বিশ্বামিত্রী নদীর কাছাকাছি অঞ্চলে বসবাসকারীরা চরম সতর্কতার সঙ্গে রাস্তা পারাপার করে থাকেন। কুমিরের হানা এই সময়ে নতুন কিছু ঘটনা নয়। কারণ অবিরাম ভারী বর্ষণের পর উপচে পড়ে নদীর জল। আর সেই জলের স্রোতে নদী থেকে বেরিয়ে পড়ে কুমির। প্রায় ২৫০-৩০০ কুমির আছে নদীতে।
এর আগে কুমিরের হানায় মানুষকে টেনে নিয়ে যাওয়া থেকে কামড়ানোর ঘটনার নজির আছে। বর্ষার মরশুমে নদীর তল ক্রমশ সংকুচিত হতে থাকায় কুমির প্রায়শই লোকবসতির কাছাকাছি চলে আসে। তাদের উদ্ধারের কাজ চলছে। গত কয়েকদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে নাভসারি এবং ভালসাদ সহ গুজরাটের বেশ কয়েকটি জেলা বন্যার কবলে পড়েছে। এই সপ্তাহের শুরুতে, তাপি নদীর উপর নির্মিত উকাই বাঁধ থেকে কমপক্ষে ৬০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলা কালেক্টর ও প্রশাসনকে সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের আর্থিক সাহায্যের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বর্ষার সময়ে প্রায় ২৫-৩০ টি ফোন আসে তাদের কাছে কুমির উদ্ধারের জন্য।