পুবের কলম প্রতিবেদক: কালীপুজোর রাত মানেই সেই পুরানো ছবি। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার ফাটানো হয় শব্দবাজি। বহু বছর থেকে একই ছবি দেখছে বঙ্গবাসী। এবারও তার অন্যথা হল না। ফলে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় নাম লেখাল কলকাতা। দীপাবলীর পর দিন সকালে বায়ু দুষণের ক্ষেত্রে একে অপরকে টেক্কা দিল দিল্লি ও কলকাতা।
সোমবার সকালে যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা বাতাসের গুণমানের নিরিখে বিশ্বের সবথেকে খারাপ অবস্থা দিল্লির। বিশ্বের দূষিত শহরগুলির মধ্যে ফের এক নম্বরে জায়গা পেয়েছে রাজধানী দিল্লি। তবে দিল্লির সঙ্গে কলকাতার তফাৎ খুব বেশি নয়।
গত কয়েকদিনে একাধিকবার দিল্লি সর্বাধিক দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সোমবার সকালে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স পৌঁছেছে ৪২০-তে। চার নম্বর স্থানে রয়েছে কলকাতা, সেখানকার একিউআই ১৯৬। এছাড়া মুম্বইয়ের একিউআই ১৬৩। বাণিজ্য নগরী জায়গা পেয়েছে অষ্টমে। সোমবার সকালে কলকাতা এবং এর আশেপাশে বায়ুর গুণমান ‘খারাপ’ বলে পরিবেশ দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সোমবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল২৮৪, ফোর্ট উইলিয়ামে ২৬২, যাদবপুরে ২৫৪, রবীন্দ্র সরোবরে ২৩৪ এবং সল্টলেকে ২৩৬। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হাওড়া জেলার ঘুসুরিতে একিউআই ৩১০ এবং আসানসোলে ২৫২ ছিল। এয়ার মনিটরিং স্টেশনগুলির রিডিং অনুসারে, রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় রবীন্দ্র সরোবর একিউআই ছিল ২৬১, বালিগঞ্জ ২৫৭, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ২৭৬, যাদবপুর ২৬৭, ফোর্ট উইলিয়াম ২৫৫, বিধাননগর ২৪৩ এবং ঘুসুরি ২৬২।
এ নিয়ে পরিবেশবিদ নব দত্ত জানিয়েছেন, রবিবার বিকেলের পর দূষণের মাত্রা বাড়ে। তিনি জানিয়েছেন দুষণের মাত্রা বাড়লে শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগের প্রভাব বাড়তে থাকবে।
আগেই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, রাস্তায় জল ছিটিয়ে ধুলো নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। দূষণের নিরিখে প্রথম তিন থেকে কুড়িতে চলে গিয়েছে কলকাতা। কিন্তু কালীপুজোর রাতে কেন এমন বেহাল অবস্থা? অবশ্য ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এত বড় সমুদ্র নিয়েও মুম্বই দূষিত শহরের তালিকায়। সমুদ্র দূষিত বাতাসকে পরিশুদ্ধ করতে পারে। কিন্তু কলকাতার সে জায়গা নেই। উলটে হাওড়ার দূষিত বাতাসও কলকাতায় এসে ঢুকছে।