পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আম, আনারসের খোসা,ক্যাকটাস, খড়, ইত্যাদি ব্যবহার করে ব্যাগ, বেল্ট, মানিব্যাগ, স্যান্ডেল ইত্যাদি তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এই প্রোডাক্টগুলি পরিবেশ বান্ধব, সস্তা ও টেকসই। ঠিক চামড়ার মত দেখতে পরিবেশবান্ধব জিনিস তৈরিতে সফল হয়েছে সিএসআইআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এনআইআইএসটি)।
সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, খুব তাড়াতাড়ি এই প্রযুক্তিটিকে বাণিজ্যিকীকরণ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কয়েক বছর আগে এই পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল। এই প্রথমবার ক্যাকটাস থেকে কৃত্রিম চামড়া তৈরির প্রযুক্তি সফল হয়েছে। সোমবার এই প্রযুক্তিটিকে মুম্বই-ভিত্তিক একটি কোম্পানিতে হস্তান্তর করবে এনআইআইএসটি।
ফ্যাশন আইটেম ও স্টাইলিশ অ্যাকসেসরিজের ব্যবহৃত কিছু উপাদান প্রাণী থেকে আসে। বিভিন্ন জ্যাকেট, বুট, নানা ডিজাইনের জুতা বানাতে যে চামড়ার ব্যবহার করা হয়, তা আসে শূকর, গরু, এমনকি কুমিরের মতো বন্য প্রাণী থেকে। মেষশাবক, খরগোশ ও শিয়াল থেকে সংগৃহীত হয় পশম। এই চামড়া ও পশম সংগ্রহ করতে প্রাণীগুলোকে হত্যা করা হয়। চোরাশিকারির হাতে প্রাণ হারায় বন্য প্রাণী। এ কারণে অনেক বন্য প্রাণী আজ বিলুপ্তির পথে। অন্যদিকে চামড়া, পশম প্রক্রিয়াজাত করতে যে কসাইখানা ব্যবহার করা হয়, সেগুলো গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের জন্য দায়ী, যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ।
গত কয়েক দশকে বিশ্বজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ‘ভেগানিজম’ বা নিরামিষাশীদের সংখ্যা। ভেগানরা প্রাণিজ কোন খাদ্য গ্রহণ করেন না। এমনকি দুধ কিংবা দুগ্ধজাত খাবার নয়। তবে ভেগান শব্দটা এখন শুধু খ্যাদাভাসের সিমাবদ্ধ নেই। । প্রাণী রক্ষা ও পরিবেশ বাঁচানোর ত্যাগিদ থেকে উদ্ভব হয়েছে ভেগান লাইফস্টাইলেরও। আর এর ভেতর আছে ভেগান ফ্যাশন। শুধু ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের ভেতরেই ভেগান ফ্যাশন পণ্যের উৎপাদন বেড়েছে ১১৬ শতাংশ। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা।