পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩ সফল হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্যেই। শনিবার এমনটাই বললনে অমিত শাহ। কিন্তু ইসরোর গবেষণায় প্রধানমন্ত্রীর কি ভূমিকা ছিল, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আহমদাবাদে ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’য় বক্তৃতা দিতে গিয়ে শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাফল্যের তালিকা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, মোদি পাকিস্তানে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালিয়ে ভারতকে সুরক্ষিত করার কাজ করেছেন। ৩৭০ ধারা বাতিল করার যে অসম্পূর্ণ স্বপ্ন, সেটাও তিনি পূর্ণ করেছেন। অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছেন। চন্দ্রযান মিশনের মাধ্যমে ভারতকে চাঁদে নিয়ে গেছেন। দেশের অর্থনীতির হাল ফিরিয়েছেন। স্বাধীনতার পর শিল্পে সর্বোচ্চ বিকাশ দেখেছে দেশ একমাত্র মোদির আমলে।
অমিত শাহ বলেন, সাংবাদিকরা আমাকে প্রায়ই প্রশ্ন করে, প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোন সাফল্যকে আমি সবথেকে বেশি নম্বর দেব। কোনও কিন্তু না রেখে এই প্রশ্নের জবাবে আমি বলব, দেশের ৬০ কোটি গরীব মানুষের জীবনে পরবর্তন এসেছে, এটাই মোদি জমানার সবথেকে বড় সাফল্য।
এই ৬০ কোটি গরীব মানুষ নিজেদের ঘর পেয়েছে, পানীয় জলের সুবিধা পেয়েছে, গ্যাস সিলিন্ডার, শৌচালয়, ওষুধ, চিকিৎসা, বিনামূল্যে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য পেয়েছে।
এদিন ভারতকে উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশে রুপান্তরের স্বপ্ন দেখিয়েছেন অমিত শাহ। কিন্তু শাহ যখন উন্নয়নশীল দেশ আর দরিদ্র প্রীতির কথা বলছেন, তার ঠিক আগেই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তারা জানিয়েছে ভারতে ৪ জনের মধ্যে ৩ জনই আধপেটা থাকেন। পেট ভরে তারা খাবারই পান না। অমিত শাহ গরীব উন্নয়নের যে খতিয়ান তুলে ধরেছেন, তার সঙ্গে মোটেই মিলছে না রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট।