পুবের কলম প্রতিবেদকঃ হাওড়ার শিবপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবীকে ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে খুনের চেষ্টার ঘটনা ঘটল। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মূল দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, চপার জাতীয় ধারাল অস্ত্রের কোপ মারা হয় আইনজীবীর শরীরে। আইনজীবীর বাঁ হাতে ও পিঠে গুরুতর আঘাত লাগে। হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তনবীর আলম নামের ওই আইনজীবী।
পুরনো শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে। ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ মূল অভিযুক্ত মহঃ চাঁদ ও মহঃ মুস্তাক ওরফে গোপীকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তনবীর আলম কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। শিবপুরের কাজীপাড়া এলাকার কাজী সইফুল আলম লেনের বাসিন্দা তিনি।
মঙ্গলবার বেলা প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ নিজের বন্ধুর সঙ্গে বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন তনবীর। সেইসময় দুই যুবক পায়ে হেঁটে সেখানে আসে। এরপরেই আচমকাই তনবীরের উপর তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে চপার দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। তনবীরের বাঁ হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। এর পাশাপাশি তাঁর পিঠের বিভিন্ন জায়গায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। সেই সময় তিনি নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। তাঁকে ওইভাবে কোপাতে দেখে একজন ছুটে এসে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তখন তাঁকেও কোপায় দুষ্কৃতিরা। আহত হন দুজনেই। তাঁদের চিকিৎসা চলছে হাওড়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালে। খবর পেয়ে ছুটে আসে শিবপুর থানার পুলিশ।
ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট বিজেন্দ্রপ্রতাপ সিং জানিয়েছেন, এদিন কাজীপাড়া মোড়ের কাছে তনবীরের উপর হামলা চালানো হয়। কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে ওই হামলা চালায়। এর আগেও ওঁনার উপর হামলা চালানো হয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, যারা হামলা করেছে তারা এলাকার পুরনো দুষ্কৃতী। এদের সঙ্গে তানবীরের পুরনো শত্রুতা ছিল। এদিন চপার দিয়ে ওই দুষ্কৃতীরা আঘাত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মহম্মদ চাঁদ এবং মহম্মদ মুস্তাক ওরফে গোপকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধের কাজে ব্যবহৃত চপারটির পাশাপাশি অভিযুক্ত আরও একজনকে খোঁজা হচ্ছে। ধৃত দুই জনের সঙ্গে আক্রান্ত তনবীরের পুরনো শত্রুতা ছিল। এদের উভয়ের বিরুদ্ধেই কেস পাল্টা কেস আছে। আইনজীবীর উপর হামলার কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।