পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনায় উত্তাল পাকিস্তান। বুধবার পাকিস্তানের ফয়সলাবাদে জারানওয়ালা টাউনের একটি খ্রিস্টান এলাকায় ঘটেছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি চার্চ ও ঘর-বাড়িতে। হামলাকারীদের অভিযোগ, ওই এলাকায় বসবাসকারী একটি পরিবার পবিত্র কুরআন অবমাননা করেছে। সে কারণেই এই আক্রমণ। উন্মত্ত জনতা অন্তত পাঁচটি চার্চে আগুন ধরিয়েছে। চার্চের সঙ্গে যুক্ত অন্তত ১২টি ভবনও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খালি বাড়িগুলোতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে।
আক্রমণকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাদের এলাকা থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআন অবমাননার অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে উঠেছে তাদের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। পাকিস্তানের বিশপ আজাদ মারশাল লাহোর থেকে জানিয়েছেন, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার জানিয়েছেন, ঘটনার ছবি দেখে তিনি শিউরে উঠেছেন।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন তিনি। নিরাপত্তা বাহিনীকে এলাকা ঘিরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী। পূর্ব পাকিস্তানের ওই শহরে মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মাঝে সহিংসতার জেরে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ধ্বংসস্তূপগুলো কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা হয়েছে। দুই খ্রিস্টান ব্যক্তির হাতে কুরআন অববাননার পরই উত্তেজনা দেখা দেয়।
অভিযোগ, ওই দুই ব্যক্তি পবিত্র কুরআনের পাতা ছিঁড়েছে। জারানওয়ালাসহ ফয়সালাবাদ জেলায় সাত দিনের জন্য জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কুরআন অবমাননায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা না হলেও তাদের বিরুদ্ধে ‘ব্লাসফেমি’র অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার আইন অত্যন্ত কড়া। এই আইনে মামলা হলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।