পুবের কলম প্রতিবেদনঃ ভবানীপুর উপনির্বাচনে জোরকদমে প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের ভোট টানতে বুধবার সরাসরি গুরুদ্বারে হাজির হন তিনি। ভবানীপুর বিধানসভা এলাকায় প্রচুর শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। এমনিতে ভবানীপুরের অলিগলি ঘুরে তাঁর হয়ে প্রচার করছেন দলের নেতা মন্ত্রীরা। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীর মতো প্রথমসারির নেতাদের তাঁর হয়ে প্রচারে নামানো হয়েছে। তবে নিজের প্রশাসনিক দায়িত্বের ফাঁকে তাঁর মতো করেই প্রচার সারছেন মমতা। কখনও মন্দির, কখনও মসজিদ এদিন গুরুদ্বারেও পৌঁছে গেলেন মমতা।
বিকেল চারটের সময় নবান্ন থেকে সরাসরি গুরুদ্বারে পৌঁছন মমতা। উপনির্বাচনকে সামনে রেখে সেখানে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি, ভোটের প্রচারও সারেন তিনি।
এদিন সেখানে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘শুভকামনা জানাতে গুরুদ্বারে এসেছি। পেতেও এসেছি। আগেও অনেকবার এখানে এসেছি। গুরুদ্বারে এলে মন শান্ত হয়ে যায়। এখানকার হালুয়া খুব পছন্দ করি। গুরু নানকজীর অনুষ্ঠানেও গিয়েছি। পঞ্জাবের সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক বহু দিনের। সেই স্বাধীনতার সময় থেকে পঞ্জাবের সঙ্গে বাংলার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন জাতীয় সঙ্গীত লিখেছিলেন তা শুরুই করেছিলেন পঞ্জাব দিয়ে। আন্দামানে গিয়ে দেখিছে, যত মানুষ দেশের জন্য বলিদান দিয়েছেন তাদের মধ্যে পঞ্জাব ও বাংলার মানুষের সংখ্যা বেশি। কুড়ি বছর আগে পঞ্জাবের বিভিন্ন জেলা সফর করেছি। পঞ্জাবের মানুষদের থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি আমি।’
বুধবার গুরুদ্বারে কিছু শিখ ধর্মালম্বী মানুষেরা কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করেন, তাতে মমতা জানান, ‘ আমরা কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করি। খুবই অন্যায় করেছে কেন্দ্র। আমি কৃষকদের সঙ্গে রয়েছি। ওদের সঙ্গে দেখাও করেছি। পঞ্জাবে আমার টিম পাঠিয়েছিলাম। আমি প্রত্যেক মিটিং মিছিলে সেই কথাটি তুলি। আমি কৃষকদের পাশে আছি।’
উল্লেখ্য, এর আগে একবালপুরে ষোলআনা মসজিদে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তাই জনসংযোগে জোর দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।