রেজাউল করিম– মোথাবাড়ি রবিবার থেকে শুরু হয়েছে সিয়াম সাধনার মাস রমযান। বিভিন্ন জায়াগায় গজিয়ে উঠেছে তরমুজের অস্থায়ী দোকান। দেদার বিক্রিও শুরু হয়েছে। করোনা আবহে গত দু’বছর তেমন ব্যবসা করতে পারেন নি ব্যবাসায়ীরা। এবার রোজগারের আশায় রয়েছেন তাঁরা। বেশি বিক্রির আশায় রয়েছেন এই তরমুজ ব্যবসায়ীরা।
গোটা রমজান মাস জুড়ে ব্যাপক চাহিদা থাকে তরমুজের। তাছাড়াও তীব্র গরম থেকে নিস্তার পেতে তরমুজের ওপর ভরসা করে থাকেন সাধারণ মানুষ। মাত্র দু’মাসের ব্যবসা। আপাতত বেঙ্গালুরু থেকে আসছে গরমের সঙ্গী এই ফলটি। দিনকয়েক বাদে বর্ধমান– কোচবিহার ও ডালখোলা থেকেও আসতে শুরু করবে তরমুজ। যদিও ঝাড়খন্ড-মালদার সীমানা সংলগ্ন এলাকায় গঙ্গার চরে কিছু তরমুজের চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু বাজারে আসার আগেই তা শেষ হয়ে যায়।
এমনিতে গোটা জেলা জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে তরমুজের বাজার বসলেও বেশ রমরমা বাজারের দেখা মেলে কালিয়াচক-১ ও ২ ব্লকে। কালিয়াচকের কালিকাপুর কারবোলা মাঠ– বাবুরহাটে জমে উঠেছে তরমুজের বাজার। আবার মোথাবাড়ির বাবলা– মেহেরাপুরেও বেশ রমরমা বাজার বসেছে। শনিবার কালিকাপুর কারবোলা মাঠে গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকটি অস্থায়ী ছাউনি করে সেখান থেকে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। পাইকারি দরেই মিলছে। ২৫ টাকা কিলো দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। একেকটি ছাউনি থেকে দিনে গড়ে ১ টনের উপর তরমুজ বিক্রি হয়। তবে রমজান মাস শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সেটা উর্দ্ধগামী হয়ে গিয়েছে। পাইকারী ব্যবসায়ীদের মধ্যে নাসরুল শেখ– সেন্টু শেখ– সাজেদ শেখরা বলেন– ‘আমাদের ২ মাসের ব্যবসা। যদিও রমজান মাসে বিক্রিবাটা বেশি হয়ে থাকে। তারপর কিছুটা কমবে। দু’বছর করোনা আবহে তেমন ব্যবসা করতে পারি নি। এবার নতুন আশা নিয়ে লাভের আশায় রয়েছি।’