পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অসমের দরং জেলার মঙ্গলদৈয়ের মহর্ষি বিদ্যামন্দিরে প্রবীণ ভাই তোগাড়িয়ার নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রীয় বজরং দলের মারণাস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এরইমধ্যে অভিযানে নেমে পড়ল দরং জেলা পুলিশ। ডিজিপি-র নির্দেশে এরইমধ্যে ওই স্কুলের অধ্যক্ষ হেমন্ত পায়েঙ্গ এবং কর্মচারি রতন দাসকে পুলিশ আটক করেছে। শীঘ্রই আরও কয়েকজনকে জালে তোলা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসক ও বিরোধী দলগুলির মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল তরজা। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, বিজেপির অন্দরেই এই অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে মতভেদ দেখা যাচ্ছে।
রাজ্যের মন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বরুয়ার মতে স্বধর্ম রক্ষার জন্য অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেওয়া যেতেই পারে। সনাতন ধর্মেই একথা বলা আছে। এই দেশেরবহু মন্দির আক্রান্ত হয়েছে সুরক্ষার অভাবে।
মোঘল, ব্রিটিশ, পাঠান, হুনরা বিভিন্ন সময়ে সনাতন ধর্মের উপর আঘাত করেছে। সনাতনপন্থীরা যদি নিজেদের ধর্মের সুরক্ষায় অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয়, সেটা অপরাধ নয়। কিন্তু মন্ত্রিসভায় তাঁর সতীর্থ, পরিষদীয় মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা স্পষ্ট বলেছেন, যা হয়েছে, ভালো হয়নি।
আইন তার নিজের পথে চলবে। আবার বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত বড়গোঁহাই বলেন, আত্মরক্ষার জন্য এই ধরনের প্রশিক্ষণ জরুরি। প্রদেশ বিজেপি সভাপতি ভবেশ কলিতা জানান রাষ্ট্রীয় বজরং দলের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। এই সংগঠন বিশ্বহিন্দু পরিষদের বজরং দল নয়। যদিও সরকারের শরীক দল অগপা-র সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী অতুল বরা মঙ্গলদৈয়ের ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলছেন। অন্যদিকে, এই ঘটনার নিন্দা করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরা বলেন, এভাবে স্কুল চত্বরে মারণাস্ত্র প্রশিক্ষণকেও একজন মন্ত্রী সমর্থন করছেন।
তাঁর কথা শুনলে মনে হয়, মন্দির সুরক্ষায় ব্যর্থ সরকার। তাই যুবকদের হাতে বুক তুলে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, জেহাদি সংযোগের অভিযোগে মাদ্রাসায় বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। স্কুল অস্ত্র প্রশিক্ষণে সরকার কি ব্যবস্থা নেয় সেটা এখন দেখার। এটা সুশাসনের লক্ষণ নয়।