পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : ঘুমে ব্যাঘ্যাত ঘটায় আজান। রোগীদের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। কারণ তাঁদের রক্তচাপ বেড়ে যায়। এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর। যে মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। প্রবল বিতর্কের মুখেও পড়েছেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ।
মঙ্গলবার ভোপালের বেরাসিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে প্রজ্ঞা বলেন,”ভোরবেলায় সাড়ে পাঁচটার সময় খুব জোরে আওয়াজ হয়। সেই শব্দ বাড়তেই থাকে। মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। অনেক রোগীর সমস্যা হয়। তাঁদের রক্তচাপ বেড়ে যায়।”
বিজেপি (BJP) সাংসদের অনুযোগ, “ওঁদের প্রার্থনার আওয়াজ বারবার আমাদের শুনতে হয়। কিন্তু তাতে কারও কিছু এসে যায় না। কিন্তু আমরা যখন মাইক ব্যবহার করি বা প্রার্থনা করি, তখনই বিধর্মীদের সমস্যা হয়। ওঁরা নাকি অন্য ধর্মের প্রার্থনা শুনতে পারে না। এটা নাকি ইসলামে বারণ। আমরা হিন্দুরা অন্যদের ধর্মবিশ্বাসের দিকে নজর রাখি কারণ, আমরা সর্বধর্মে বিশ্বাস করি। কিন্তু আমাদের কি এটা করা উচিত?”
প্রজ্ঞার সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস বিধায়ক আরিফ মাসুদ বলেন, ‘ভোপালের কমলা নেহরু হাসপাতালে সদ্যোজাত শিশুদের মৃত্যু থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছেন প্রজ্ঞা ঠাকুর। উনি একটি ধর্মীয় নিয়মের অপমান করছেন। সেজন্য তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় ভোপালের হাসপাতালের তৃতীয় তলের শিশু বিভাগে আগুন লেগে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। প্রত্যেকেরই নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করার অধিকার আছে। যদি প্রজ্ঞা ঠাকুর কিছু বলেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মত। সেটার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’ যদিও সেই ‘ব্যক্তিগত’ মন্তব্যে ঠিক-ভুল বিচার করেনি বিজেপি।
এমন বিতর্কিত মন্তব্য যে প্রজ্ঞা এই প্রথম মন্তব্য করেছেন, তা নয়। হামেশাই তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে আসেন। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বই হামলায় মৃত হেমন্ত কারকারেকে একাধিকবার আক্রমণ করেছেন প্রজ্ঞা। যিনি ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণের তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। যে মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর। পরে ২০১৬ সালে তাঁকে ক্নিনচিট দিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।