পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অ্যারিজোনা রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানিয়েছে,১৮৬৪ সালে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার জন্য যে আইন ছিল তা পুনরায় তারা কার্যকর করতে পারে । এই আইনটি কার্যকর হলে গর্ভপাতে যে সব চিকিৎসকরা সাহায্য করেন তারা বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন।
১৮৬৪ সালের গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা আইন অনুযায়ী অ্যারিজোনার বিদ্যমান আইন অনুসারে ধর্ষণ অথবা অনিচ্ছাকৃত ঘটনায়ও গর্ভপাতও নিষিদ্ধ । শুধুমাত্র মায়ের জীবনের আশঙ্কা থাকলে তবেই গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে । পুরাতন ওই আইনে গর্ভপাতের ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে । গর্ভাবস্থার প্রথম ১৫ সপ্তাহে গর্ভপাত করার জন্য চিকিৎসকদের অভিযুক্ত করা যাবে না বলে ২০২২ সালের একটি আবেদন অবশ্য পর্যালোচনা করেছে অ্যারিজোনার সুপ্রিম কোর্ট । ইচ্ছাকৃত গর্ভপাত ইসলাম অনুমোদন করেনি। গোপনে ভ্রূণ হত্যা ইসলামে নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে কঠিন শাস্তির কথা রয়েছে ইসলামে। ভ্যাটিকানের নতুন ঘোষণাপত্রেও গর্ভপাতে আপত্তি জানানো হয়েছে।বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৪টি রাজ্য কিছু ব্যতিক্রম পরিস্থিতি ছাড়া, গর্ভাবস্থার সকল পর্যায়ে গর্ভপাতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে ।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্যই এক বিবৃতিতে গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেছেন । তিনি বলেন, ‘‘লক্ষ লক্ষ অ্যারিজোনাবাসী শীঘ্রই আরও কট্টর ও বিপজ্জনক গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে । যে আইন নারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অথবা ধর্ষণ এর মতো মর্মান্তিক পরিস্থিতিতেও তাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হবে । ’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস ও আমি সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ আমেরিকানদের পাশে আছি । যারা একজন নারীর পছন্দের অধিকারকে সমর্থন করে । আমরা প্রজনন অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবো ও রো ভি ওয়েডের সিদ্ধান্ত পুনরুদ্ধার করার জন্য কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানাবো । ’’