পুবের কলম প্রতিবেদক: চলে গেলেন বরেণ্য প্রত্নতত্ত্ববিদ ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ড. এনামুল হক। স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ঐতিহাসিক এবং শিল্পকলা বিশারদ এনামুল হক। নিজ বাসভবনে ঘুমের মধ্যে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় লন্ডন ও নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রত্নতত্ত্বে বিশেষ অবদানের জন্য ভারত সরকার ২০২০ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করে।
রবিবার ১০ জুলাই রাজধানীতে নিজে বাসভবনে ড. এনামুল হক মৃত্যুবরণ জানান তাঁর সহকর্মী (রিসার্চ ফেলো) সাইফুল ইসলাম।
সাইফুল সংবাদমাধ্যমকে জানান, স্যার তিনটে ৩৫ মিনিটে ঘুমের মধ্যে মারা গেছেন। সকাল থেকে তিনি কুরবানির যাবতীয় কাজ তত্ত্বাবধান করে দুপুরে খেয়ে ঘুমাতে যান। ঘুমের মধ্যে সাড়া না পেয়ে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এনামুল হকের মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। তার মেয়ে আগামী মঙ্গলবার প্রবাস থেকে ফিরলে দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এনামুল হক ১৯৩৭ সালের ১ মার্চ বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস-প্রত্নতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দক্ষিণ এশিয়ার শিল্প বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৬২ সালে তৎকালীন ঢাকা জাদুঘরে যোগদান করে এনামুল হক। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঢাকা জাদুঘর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে রূপান্তর হলে প্রতিষ্ঠাকালীন মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন তিনি।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে প্রফেসর ড. এনামুল হক ২০১৭ সালে একুশে পদক ও ২০২০ সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। ভারতের পদ্মশ্রী পদকেও ভূষিত করা হয় তাঁকে। গুণী ব্যক্তির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বুদ্ধিজীবী মহল।