পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মালয়েশিয়ার নয়া প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম দেশটির অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিলেন। তিনি সরকার প্রধানের পাশাপাশি আপাতত অর্থমন্ত্রক দেখাশোনা করবেন। তিনি দেশটির অর্থনীতির পুনর্গঠন এবং মানুষের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে চান। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। আনোয়ার ইব্রাহিম তার জোট সরকারে বেশকিছু নতুন মুখ এনেছেন। ২৮ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। এরমধ্যে উপমন্ত্রীদের নাম এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে ডেপুটি হিসেবে তিনি দু’জনের নাম ঘোষণা করেছেন। একজন হলেন ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রধান আহমেদ জাহিদ হামিদি, তিনি ইউনাইটেড মালয়েস ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনেরও (ইউএমএনও) প্রধান। অপরজন হলেন বোর্নিও নেতা ফাদিল্লাহ ইউসুফ। বিদেশমন্ত্রী হিসেবে রেখেছেন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সেক্রেটারি জেনারেল জাম্বরি আবদুল কাদিরকে। ১৯৯০-র দশকে আনোয়ার নিজেই অর্থমন্ত্রী ছিলেন। নয়া মন্ত্রিসভার অধিকাংশই মালয় জনগোষ্ঠীর। আনোয়ার বলেন, ‘নতুন জোট সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশে সুশাসন নিশ্চিত এবং জনগণের বোঝা লাঘবে কাজ করবে।’ এদিকে নতুন ডেপুটিদের নাম প্রকাশের পর সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন আনোয়ার। সমালোচকরা বলছেন, দুই ডেপুটির একজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের ওহ ই সান বলেন, জাহিদের নিয়োগ আনোয়ারের সরকারকে সমস্যায় ফেলবে। কিন্তু এই মুহূর্তে ইউএমএনও সমর্থন ধরে না রেখে আনোয়ারের অন্য কোনও উপায় নেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, আনোয়ার যে সমঝোতা করেছেন, তা নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিফলিত হয়েছে। ন্যাশনাল ফ্রন্টের সমর্থন নিশ্চিত করতে জাহিদের নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলে এককভাবে কোনও জোট সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হয়। আনোয়ার ইব্রাহিমের পাকাতান হারাপান সবচেয়ে বেশি ৮২ আসনে জয় পায়। সরকার গঠন করতে দরকার ছিল ১১২ আসন। পরে মালয়েশিয়ার রাজা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনোয়ারের নাম ঘোষণা করেন। দেশটির ১০ম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আনোয়ার। তিনি মনে করেন, নতুন সরকারকে স্থিতিশীল রাখতে এখনই শক্তভাবে দেশের হাল ধরতে হবে।