পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সম্প্রতি বলেন, মাদ্রাসাগুলি ‘জিহাদি হাব’ এ রূপান্তরিত হয়েছে। এর পর থেকে সরকারের আদেশ মতো মাদ্রাসা ধবংসের কাজ চলেছে। একমাসের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয় মাদ্রাসাটি বুলডোজের আঘাতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। অসমের বঙ্গাইগাঁওতে জেলাশাসকের নির্দেশমতো বুলডোজের শিকার হল তিন নম্বর মাদ্রাসা।
ধবংসের কারণ হিসেবে, বঙ্গাইগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে এক যুক্তি খাড়া করে বলা হয়েছে, মারকাজুল মা-আরিফ কোয়ারিয়ানা মাদ্রাসায় আগুন বা ভূমিকম্প পরিচালনা করার জন্য পর্যাপ্ত জরুরি সরবরাহ নেই। দুর্যোগের সময় ব্যবহার করার মতো পর্যাপ্ত খোলা জায়গা নেই।
জেলা পুলিশ সুপারের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, জেলা প্রশাসকের তথ্য অনুযায়ী মাদ্রাসাটিতে ২২৪ জন ছাত্র ছিল। মাদ্রাসার ভিতরে একটি ভিন্ন অংশে অবস্থিত একটি মসজিদ বাদে, কর্তৃপক্ষ পুরো ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। এক মাসের মধ্যে এই নিয়ে তিন নম্বর মাদ্রাসাকে ভেঙে ফেলা হল।
একিউআইএস এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে সংযোগ থাকার সন্দেহে পুলিশ এ পর্যন্ত ৩৭ জনকে আটক করেছে। বরপেটার পুলিশ সুপার অমিতাভ সিনহা বলেছিলেন, ‘যেহেতু এই মাদ্রাসাটি সরকারি জমিতে তৈরি হয়েছিল, তাই বরপেটা জেলা উচ্ছেদ অভিযানে এটি ভেঙে দিয়েছে।’
গত ৪ আগস্ট অসমের মরিগাঁও এলাকার একটি মাদ্রাসা ধ্বংস করা হয়। সেই সময় একজন শিক্ষককে সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়। এছাড়াও প্রশাসন অন্যান্য রাজ্য থেকে অসমে আসা ইমামদের তাদের সম্পর্কে তথ্য জানাতে ও সরকারি ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করা আবশ্যক করেছে।