পুবের কলম প্রতিবেদক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জামাআতে ইসলামি হিন্দের সর্বভারতীয় সভাপতি সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হোসাইনী বলেন– আমরা মনে করি কৃষি আইন প্রত্যাহার অবশ্যম্ভাবী ছিল। এটি গণতন্ত্রের বড় জয়। আমাদের দেশের কৃষকরাও জয়ী হলেন। শুধু তাই নয়– ভারতের জনগণের কাছেও এটি জয় হিসেবে অবিহিত করা যায়। গরিব– কৃষক ও জনগণের বিরোধী ছিল কৃষি আইন। যারা এই আইনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং কৃষকদের স্বার্থে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন– তারা এই জয়কে ছিনিয়ে আনলেন। কৃষি আইনগুলির বিরুদ্ধে যারা সংগ্রাম করতে গিয়ে মূল্য দিয়েছেন– জীবনকে উৎসর্গ করেছেন– তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
জামাআতের সভাপতি আরও বলেন– কৃষকদের আন্দোলন– ধরনা ও প্রতিবাদ ছিল শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক। সুশীল সমাজ এই আইনের বিরুদ্ধে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছিলেন। ফলে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী এই আইন প্রত্যাহ*ত হচ্ছে। যে সমস্ত কৃষি পরিবারের ভাই ও বোনেরা জীবনদান করেছেন– তাদের আমরা সেলাম জানাই।
সরকার কৃষি আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়ার জন্য উন্মাত্ততা ও পাশবিকতার আশ্রয় নিয়েছিল। সরকারের অনুভূতিহীনতা এতদিন দেখা গেছে। এখন আমরা সরকারের কাছে দাবি করছি– সিএএ-এনারসি-র মত সংবিধান বিরোধী আইনকে প্রত্যাহার করা হোক। সিএএ-এনআরসি জনগণের বিরোধী আইন। যত দ্রুত এইসব আইন প্রত্যাহার করা হবে ততই ভলো। সরকারকে এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে হবে। তিনি আরও বলেন– প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের কৃষকদের দাবিকে অবশেষে মেনে নিলেন। এতে আমরা আনন্দিত। যদি আগেই এটা করা হতো– তাহলে ক্ষতি এড়ানো যেত।