পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ নর্থ মেসিডোনিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে কাতার বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে গেল ইতালির। কাতার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে গেলে মেসিডোনিয়ার বিরুদ্ধে শুধু জিতলেই হত না, বড় ব্যবধানে জিততে হত ইতালিকে। কিন্তু নিজেদের মাঠেই নর্থ মেসিডোনিয়ার বিরুদ্ধে হেরে ফের একবার বিশ্বকাপের বাইরেই রইল চার বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি। দুর্দান্ত ফুটবল খেলেও দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে ম্যাচের একেবারে ইনজুরি টাইমে গোল খেয়ে এবারের কাতার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে ছিটকে গেল দোনারুমা, মানচিনি, জরজিনহোদের ইতালি।
শুরু থেকেই ইতিবাচক ফুটবল খেলতে শুরু করেছিল ইতালি। কিন্তু গোলের দেখা মিলছিল না। একাধিক গোলের সুযোগ মিস করে গেল ইতালি। অথচ ম্যাচের যা মুভমেন্ট ছিল তাতে অন্তত ৬ থেকে ৭ গোলে জিততে পারত ইতালি। কিন্তু তা তো হলই না, উল্টে এদিন ইতালিকে ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করলেন রেফারি। পাসিং গতি সব মিলিয়ে এক অনবদ্য ফুটবল খেললেন ইনসাইন, বেরারডিরা। কিন্তু দুটো অর্ধের একটা অর্থেও গোল করতে পারল না ইতালি। উল্টে গতির বিরুদ্ধে গিয়ে একেবারে ম্যাচের ইনজুরি টাইমে গোল করে দলকে জয় এনে দিলেন নর্থ মেসিডোনিয়ার আলেকজান্ডার ট্রাজকোভিস্কি। পরিষ্কার দেখা গিয়েছে গোলটি অফসাইডে ছিল। ইতালিয়ান ফুটবলারদের আবেদন গ্রাহ্য হয়নি ম্যাচে। গতবার রাশিয়া বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ইতালি।
এবারও কাতার বিশ্বকাপেও যোগ্যতা অর্জন করতে পারল না ইতালি। ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে বোঝা গিয়েছিল নিজেদের স্বমহিমায় ফিরে এস ইতালি বিশ্বকাপে ভালো কিছু উপহার দেবে। কিন্তু সে আশা পূরণ হল না। পরপর দুটো বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারল না ইতালি। বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে যা আগে কখনও হয়নি।
১৯৩৪ ও ১৯৩৮, পরপর দুইবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হবার পর ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ইতালি। কিন্তু তার পর থেকে টানা বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করে ১৯৮২তে তৃতীয়বার এবং ২০০৬ সালে চতুর্থবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইতালি। কিন্তু ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে কত অর্জন না করতে পারার পর ফের ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারল না ইতালি। যা ইতালির ফুটবল ইতিহাসে নজিরবিহীন।