পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বর্ষবরণের রাতে গাড়ি চাপা। ৫ দিন ভেন্টিলেশনে থেকেও জ্ঞান ফেরেনি নয়ডার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর।উল্লেখ্য, বর্ষবরণের রাতে হিট অ্যান্ড রান ঘটনার সাক্ষী রইল নয়ডা। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী। ৩১ ডিসেম্বর রাত ৯ টা নাগাদ গ্রেটার নয়ডায় বিটেকের ৩ ছাত্রীকে ধাক্কা মেরে বেরিয়ে যায় বেপরোয়া গতিতে আসা একটি গাড়ি। সেই গাড়িতেই চাপা পড়ে কোমায় রয়েছেন সুইটি কুমারী নামক ওই ছাত্রী। ঘটনার ৫ দিন কেটে গেলেও এখনও জ্ঞান ফেরেনি বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
বর্ষবরণের রাতে সুইটি তাঁর দুই বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। হাঁটতে হাঁটতে যখন তারা বাস স্টপের কাছে পৌঁছায় ঠিক সেই সময় আচমকাই পিছন থেকে একটি গাড়ি এসে সজোরে ধাক্কা মারে তিন জনকে। দু’জন ছিটকে পড়েন। আর সুইটিকে গাড়িটি পিষে দিয়ে চলে যায়। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে গত পাঁচ দিন ধরে অচৈতন্য হয়ে পড়ে আছেন সুইটি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আহত তিন জনকে স্থানীয় কৈলাস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তারপর সুইটির মস্তিষ্কের অস্ত্রপচার হয়। তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল হলেও ,অচেতন রয়েছে সে। তাঁর দুই বান্ধবীরও চিকিৎসা চলছে। তবে তারা আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে বলেই খবর।
গ্রেটার নয়ডার বিটা ২ এলাকায় একটি বাস স্টপের কাছে এই হিট-অ্যান্ড-রানের ঘটনা ঘটে। আহত তিন ছাত্রী স্থানীয় জিনিইওটি কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিং ফাইনাল বর্ষের পড়ুয়া। সুইটি পড়াশোনার জন্য নয়ডাতে থাকলেও, সে আদতে বিহারের বাসিন্দা।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যে গাড়িটি ধাক্কা দিয়েছিল সেটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিস। এর জন্য এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।ওই ঘটনায় বেটা ২ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।