পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লক্ষ্য বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। নির্বাচনের আগেই গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো সামনে এসেছে আদানি ইস্যু। যা নিয়ে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এদিকে এই অস্বস্তি যে বিজেপির মাথা ব্যথার কারণ নয় তা স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এক সর্ব ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহ জানিয়ে দিলেন, বিজেপিকে কেউ প্রতিরোধ করতে পারবে না। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ময়দানে বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই।
আদানি ইস্যুতে নীরবতা ভেঙে অমিত শাহ বলেন, এটি একটি একটি বিচারাধীন বিষয়। আদানি ইস্যুটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাই এই নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। তবে বিজেপির লোকানোর বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই’।
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহের গলায় শোনা যায় আত্মবিশ্বাসের সুর। শাহ বলেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপরীতে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে কারা বসবে, তা ঠিক করে দেবে দেশের সাধারণ মানুষ। হাতে আর একটা বছর সময় আছে। তাই লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
শাহের দাবি, এই বছর যে রাজ্যগুলিতে ভোট সেখানে বিজেপি দারুণ ফল করবে। ২০১৪ সালের পর থেকে দেশে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে, গত আট বছরের সময়কালে দেশের ৬০ কোটি দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের করার চেষ্টা চালিয়ে গেছে এই সরকার। আর তাতে সাফল্য পেয়েছি আমরা। রেলে বড় পরিবর্তন এসেছে। মহাকাশ গবেষণায় নতুন নীতি এসেছে। দেশ আত্মনির্ভরতার পথে হাঁটছে। দেশকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভর করে তোলার কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই বিগত আট বছরে প্রতিরক্ষার জন্য অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরশীলতা ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছে।
অমিত শাহ বলেন, দেশকে যে গোটা বিশ্বের কাছে একটি ‘ম্যানুফ্যাকচারিং হাব’ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। কেন্দ্রের বিভিন্ন জনহিতকর প্রকল্পের সুবিধা দেশের প্রতিটি কোনায় প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।
আর এটি ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলে আশাবাদি তিনি।
শাহ বলেন, মোদি জমানায় দেশে অনেক বদল এসেছে। দেশের প্রতিটি মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আছেন।
আসন্ন লোকসভা ভোটে প্রধান বিরোধী দল কি রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে কংগ্রেস? সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে অমিত শাহের সাফ জবাব, এখনও পর্যন্ত লোকসভায় কোনও দলকেই প্রধান বিরোধী দলের তকমা দেওয়া হয়নি। আসন্ন নির্বাচনে মানুষই সেটি বেছে নেবে।