পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ তবে কী রাশিয়ার চাপে মাথা মত করল আমেরিকা? নাকি এটা দেশটির কোনও কূটনৈতিক চাল? মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বললেন, এখন ইউক্রেন যদি নিজেদের নিরপেক্ষ ও জোটহীন রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করে তাহলে তাতে আপত্তি থাকবে না আমেরিকার। মার্কিন কংগ্রেসে এক ভাষণে ব্লিঙ্কেন বলেন, ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠানোর অর্থ হল কূটনীতির টেবিলে দেশটির অবস্থানকে শক্ত করে তোলা।’ তবে শেষ সিদ্ধান্ত কিয়েভকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন এই শীর্ষ মার্কিন আধিকারিক।
সম্প্রতি ইউক্রেন সফরে গিয়ে সেখানকার যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখে এসেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী। মঙ্গলবার মার্কিন সেনেটে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তোলেন সেনেটরর্ যান্ড পল। এরপর বলেন, ’এই সেনেটের বেশিরভাগ সদস্যই ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটে দেখতে চায়, তবে তারা মস্কোর কথা ভেবে নিরপেক্ষ থাকার কথাও ভাবতে পারে।’ ব্লিঙ্কেনকে সেনেটরর্ যান্ড পল প্রশ্ন করেন, ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা আমেরিকা মানতে রাজি হবে কিনা? ব্লিঙ্কেন এর ইতিবাচক উত্তর দিয়ে বলেছেন, হয়তো হ্যাঁ। ব্লিঙ্কেনের কথায়, আমরা সেনেটররা ইউক্রেনীয়দের চেয়ে বেশি ইউক্রেনীয় হতে পারব না। এই সিদ্ধান্তগুলি তাদেরই নিতে হবে। ইউক্রেনকে আমেরিকার বর্তমান সামরিক সহায়তার অর্থ কিয়েভকে রাশিয়ার হামলা মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলা, কূটনীতির টেবিলে ইউক্রেনের হাত শক্ত করা। তবে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার তরফে অর্থপূর্ণ আলোচনার ইঙ্গিত মেলেনি। তাঁর কথায়, যদি রাশিয়া চায় এবং ইউক্রেনীয়রা এতে রাজি থাকে, তাহলে এতে আমেরিকাও সমর্থন দেবে। মার্কিন বিদেশমন্ত্রক সম্প্রতি জানায়, রাশিয়ার নিরাপত্তার ইস্যুগুলিকে বিবেচনায় নিয়েছে আমেরিকা এবং এর জন্য মস্কোর সঙ্গে কথা বলতে তৈরি ওয়াশিংটন। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এখনও কিছু বলেনি রাশিয়া। রাশিয়া মনে করে, ব্রিটেন ও আমেরিকাই যুদ্ধে উস্কানি দিয়ে এটিকে ৩য় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলছে। এই যুদ্ধের জন্য পশ্চিমাদেরই দায়ী করেছে মস্কো।