পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর বাস্তবায়ন নিয়ে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রের উপর তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, এই আইনের লক্ষ্য হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) ঘৃণার মতাদর্শকে বৈধ করা। কোল্লামে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে,আরএসএসের নীতি-আদর্শ হল ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করা। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান শুধু সংবিধানবিরোধী নয়, দেশের গণতন্ত্রের ধারণার বিরুদ্ধেও। আমাদের এটাকে মৌলিক নীতির লঙ্ঘন হিসেবে দেখা উচিত। নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে এমন আইন পাস করার অধিকার কোনও সরকারের নেই। সুপ্রিম কোর্ট আগেই ঘোষণা করেছে, এই আইন সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। আমাদের সংবিধান দেশের প্রত্যেক নাগরিককে সাম্যের অধিকার দিয়েছে। সেখানে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, কাউকে বিশেষ অধিকার দেওয়া উচিত নয়। আমাদের সংবিধান ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করে না।’ সিএএ বাস্তবায়নকে ভারতের চিরাচরিত ধারণার পরিপন্থী দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখানে কী ঘটছে? মুসলিম এবং অমুসলিমদের মধ্যে বিভেদ করা হচ্ছে। যা কোনও মূল্যেই করা উচিত নয়। সঙ্ঘ পরিবার সর্বদাই ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের প্রতি বৈষম্য করেছে। সঙ্ঘ পরিবারের এই ধারণাটিকে বৈধ চেহারা দিতে সিএএ আনা হয়েছে। যা ‘আইডিয়া অব ইন্ডয়া’র পরিপন্থী। এনআরসি চালু করার প্রথম ধাপ হচ্ছে এনপিআর। সিএএ লাগু হওয়ার আগে বলা হচ্ছিল, জনগণনা ও এনআরসি দুটো আলাদা বিষয়। সিএএ সংবিধান বিরোধী এবং মানবতাবিরোধী। এই আইনটি কেরলে প্রয়োগ করা হবে না। আমরা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছি যে এখানে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হবে না। আগামী বছর আরএসএস তার সংগঠনের ১০০ বছর পূর্ণ করবে। আরএসএসের একটি চরম সাম্প্রদায়িক এজেন্ডা রয়েছে। তারা সেই এজেন্ডার অংশ হিসেবে সিএএ নিয়ে এসেছে। কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বিজয়ন বলেন, কংগ্রেস সিএএ-র বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিবাদ থেকে সরে এসেছে।