পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আশ্চর্য ঘটনা! যমজ দুই বোনের দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষার মার্কশিটেও নাম্বার স্কোর একই
বেঙ্গালুরু, ১২ এপ্রিল: যমজ বোন, ভাই মানেই দেখতে প্রায় এক, হাবভাব-কথাবার্তা-চালচলন সব এক রকম হয় এটাই স্বাভাবিক। চিকিৎসকেরা বলেন, এক জনের মন খারাপ হলে নাকি,অপরজন সেটি অনুভব করতে পারে। পরীক্ষায় ফলাফলেও একই নাম্বার, তাও আবার হয় নাকি! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, কর্নাটকের দুই যমজ বোন দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর মার্কশিটে একই নাম্বার পেয়েছে।
কর্নাটকের হাসানের যমজ বোন চুক্কি ও ইব্বানি চন্দ্র কেভির জন্ম সময় খালি ২ মিনিটের তফাৎ। কিন্তু তাদের পরীক্ষায় খাতায় একদম একই নাম্বার দেখে অবাক হয়েছে তাদের পরিবারের লোকেরাও। দুই যমজ বোনের দ্বাদশ পিইউসি পরীক্ষায় ৬০০ মধ্যে ৫৭১ নাম্বার এসেছে, বুধবার এই পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হয়। আরও অবাক হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা হল, দশম শ্রেণির (এসএসএলসি) পরীক্ষাতেও তারা একইভাবে নজর কেড়েছিল। সেই সময় দুই বোন ৬২৫-এর মধ্যে পেয়েছিল ৬২০।
২ মিনিটের বড় চুক্কির বক্তব্য, কাকতালীয় ব্যাপার। কিভাবে সম্ভব হয়েছে জানি না। দুই বোনের আশা ছিল ৯৭ এর বেশি নাম্বার পাব, কিন্ত তার থেকেও বেশি পেয়েছি। রেজাল্ট দেখে আমরা খুব উচ্ছ্বসিত যে দুজনের একই নাম্বার এসেছে। চুক্কি জানিয়েছেন, এবার দুজনে নেট-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চিকিৎসাশাস্ত্র বা ইঞ্জিনিয়ারিংকে বেছে নিতে চায় তাঁরা। দুই বোনের লক্ষ্য এক। দুজনেরই মিউজিক, নাচ, খেলাধুলোর শখ আছে।
হাসানের এনডিআরকে পিইউ কলেজে দুই বোন বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হয়েছেন। চুক্কি জানান, আমাদের আপাতত লক্ষ্য নেট পরীক্ষায় সাফল্য। আমরা সেইভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইব্বনী জানান, আমাদের মধ্যে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। বোন আমার থেকে বেশি নাম্বার পেলে আমি খুশি হব।
রেজাল্ট দেখে যারপরনাই খুশি ও একই সঙ্গে অবাক হয়েছেন বাবা বিনোদ চন্দ্র। তিনি জানিয়েছেন, দুই মেয়ের জন্য তিনি গর্বিত। দুজনের এক নাম্বার কিভাবে হয়েছে জানি না, ইব্বনী ভাষায় বেশি নাম্বার পেয়েছিল, আর চুক্কির এক-দু নাম্বার কম-বেশি ছিল, তাও ফলাফলে দুজনের স্কোর এক। বিনোদ জানান, তার দুই মেয়েই খুব মেধাবী, পড়াশোনার জন্য পরিশ্রম করে, তবে দুজনেরই কেউই সারাদিন বই মুখে বসে থাকে না। দুজনের সম্পর্ক খুব ভালো।