পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। ইতিমধ্যেই ২০২৪-কে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে গেরুয়া শিবির। তার আগে নতুন বন্ধু পেল বিজেপি। এনডিএ জোটে সামিল হল জনতা দল সেকুলার। দেবগৌড়া পুত্রকে পেয়ে দক্ষিণ ভারতে বিজপির মুখ রক্ষা হলেও বিপাকে পড়েছে খোদ রাজ্য জে-ডি-এস।
জেডিএস প্রধান কুমারস্বামীর এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দলের সংখ্যালঘু নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি দল ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। ইতিমধ্যেই দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ শফিউল্লাহ দলের সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া, রাজ্যের কার্যকরী সভাপতি এনএমনবী, সংখ্যালঘু ইউনিটের প্রাক্তন সভাপতি নাসির হুসেন, যুব ইউনিটের কার্যকরী সভাপতি এনএম নূর এবং নেতা মাহিদ আলতাফও দলত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিজেপির সঙ্গে জেডিএস জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর এই সিদ্ধান্ত নেন তারা।
এই ঘটনায় জেডিএসকে বিজপির বি-টিম বলে তোপ দাগেন কংগ্রেস নেতা পি-চিদাম্বরম। এসটি, এসসি, ওবিসি, ও মহিলাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জেডিএস-বিজপির জোট আপনাদের জন্য সতর্কবার্তা।
এক্স হ্যান্ডেলে চিদাম্বরম লেখেন, জেডিএস-বিজপির জোট ‘ওপেন-সিক্রেট’-এর মতো। কর্নাটকের এসসি, এসটি, ওবিসি, সংখ্যালঘু এবং মহিলাদের অবশ্যই রক্ষণশীল, রিগ্রেসিভ এবং মিসজিনিস্ট দলগুলি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিবেচনা করা উচিৎ। পুরনো শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গেলে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। আগে বিজেপির বি-টিম হয়ে কাজ করত জেডিএস। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের অংশ হয়েছে।
গত সপ্তাহেই তামিলনাড়ুতে দীর্ঘদিনের শরিক প্রয়াত জে জয়ললিতার দল এআইএডিএমকের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে পদ্ম শিবিরের। ডিএমকে নেতা উদয়নিধির সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের বিরোধিতা করতে গিয়ে তামিলনাড়ুর বিজেপি নেতারা প্রাতঃস্মরণীয় দ্রাবিড় মনীষী ও রাজনৈতিক নেতাদের সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্য করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজেপির সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছে এআইএডিএমকে।কর্নাটকে জেডিএসকে পাশে পেয়ে দক্ষিণে নতুন করে অক্সিজেন পেল বিজেপি। তবে বাকি চার রাজ্যেই বন্ধুহীন পদ্ম শিবির।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে বিজেপিকে গদিচ্যুত করতে ভোটের পর জেডিএসকে সমর্থন করেছিল কংগ্রেস। জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কুমারস্বামী। তার কয়েক মাস পর অবশ্য সেই সরকার পড়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে গত মে মাসে কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি জেডিএস। একক ভাবেই দক্ষিণের এই রাজ্যে ক্ষমতায় চলে আসে কংগ্রেস। গত মে মাসের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে কন্নড় রাজনীতিতে জেডিএস অনেকটাই ব্যাকফুটে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। তাই মুসলিম নেতাদের উপেক্ষা করেই এদিন বিজপির হাত ধরেন কুমারস্বামী।