পুবের কলম প্রতিবেদক, চন্দ্রকোনা: সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে এক ব্যাক্তিকে জোর করে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা টাউন থানার অন্তর্গত বেলাদন্ড গ্রামে৷ অভিযোগ সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে বেলাদন্ড গ্রামের বাসিন্দা সুবোধ মন্ডলের সঙ্গে স্ত্রীর গন্ডগোল বিয়ের পর থেকেই৷ স্থানীয়দের দাবি স্ত্রী নিজের নামে সম্পত্তি লিখে দিতে চাপ দিত, না দেওয়াতেই স্ত্রী ও ছেলে জোর করে বিষ মুখে ঢেলে দিয়েছে৷ অসুস্থ্য অবস্থায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়৷ এরপরেই ফেরার অভিযুক্ত স্ত্রী ও ছেলে৷ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশে৷
জানা যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বেলাদন্ড গ্রামের সুবোধ মণ্ডল (৫০) পেশায় কৃষক৷ এলাকার মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা ছিল তার৷ সুবোধবাবু নাকি বিয়ের পর থেকেই সাংসারিক অশান্তিতে ভুগছিলেন৷ সুবোধবাবুর বৃদ্ধা মা আশালতা মন্ডলের অভিযোগ ছেলের বিয়ের পর থেকে প্রায় ২৭ বছর ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চরম অশান্তি লেগে রয়েছে। স্ত্রী বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে খেতে পর্যন্ত দিত না৷ ছেলেকে নিয়ে সুবোধকে কোনঠাসা করে রাখতো৷ মা আর ছেলে মিলেই সুবোধকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় অশান্তির মূল কারণ সম্পত্তির বিবাদ। স্ত্রী ও ছেলে খেতে পর্যন্ত না দিলে নিজে না খেয়েই থাকতো সুবোধ৷ যখন পারত নিজে রান্না করে খেত৷ পারিবারিক অশান্তির জেরে তার ছেলে ও স্ত্রী জোরপূর্বক বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে।
স্থানীয়দের দাবি, সুবোধের স্ত্রী পূর্ণিমা মন্ডল বিয়ের পর থেকে তার নামে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য জোর করত। কিন্তু সুবোধ সম্পত্তি লিখে না দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত অশান্তি লেগেই থাকত। এমনকি সুবোধের এক মাত্র ছেলে চন্দন মায়ের কথায় বাবার ওপর চাপ সৃষ্টি করত বেশ কিছুদিন ধরে। সুবোধ একাই রান্না বান্না করে খেত, হঠাৎ করে মঙ্গলবার অশান্তি চরমে পৌঁছায়। দুপুর নাগাদ তাকে বাড়ির মধ্যে আটকে রেখে জোরপূর্বক সুবোধের স্ত্রী ও ছেলে মুখে বিষ ঢেলে দেয় বলে প্রতিবেশী থেকে শুরু করে তার বৃদ্ধ মায়ের অভিযোগ। সুবোধবাবুর চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা বুঝতে পেরে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান৷ হাসপাতালেই বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর৷ ঘটনার পর থেকেই ফেরার অভিযুক্ত স্ত্রী ও ছেলে ৷
এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পক্ষ থেকে চন্দ্রকোনা থানায় পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।