পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গুজরাতের একটি গুরুকুলে থাকা আবাসিকদের জোর করে সমকামিতায় লিপ্ত করার অভিযোগ! বিষয়টি জেলা শিশু কল্যাণ কমিটির নজরে আসার পরেই সদস্য ডাঃ চেতনাবেন তিওয়ারি তদন্ত শুরু করেন। পাশাপাশি একই সঙ্গে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ।
জানা গেছে, গুজরাতের পোরবন্দরে অবস্থিত এই আর্য কন্যা গুরুকুল। সেখানে অষ্টম শ্রেণীর এক পড়ুয়ার অভিভাবক গুরুকুলের বিরুদ্ধে এই মারাত্মক অভিযোগ আনেন। তাদের অভিযোগ, ছাত্রীনিবাসে থাকা অন্যান্য সহপাঠীদের সঙ্গে সমকামি সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করা হয় পড়ুয়াদের। এদিকে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে গুরুকুলের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তাদের সংস্থার বিরুদ্ধে সম্মানহানির চেষ্টা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী আর্য কন্যা গুরুকুলে গত এক মাস আগে ভর্তি হয়। তখনই তার সহপাঠীরা তাকে জানায়, এখানে থাকতে হলে তাকে সমকামিতায় লিপ্ত হতে হবে, না হলে হয়রানি শিকার হতে হবে।
অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর বাবার কথায় গুরুকুলের ছাত্রীনিবাসে থাকা প্রায় অধিকাংশ পড়ুয়াই এই ধরনের সম্পর্কে লিপ্ত আছে। এখানে একটি চক্র কাজ করছে, হোস্টেলের ওয়ার্ডেনও সব কিছু জানেন। নতুন পড়ুয়া ভর্তি হলেই তাকে দিয়ে জোর করে এই ধরনের জঘন্য কাজ করানো হয়। আমার মেয়ে অধ্যক্ষের কাছে দু থেকে তিনবার অভিযোগ জানিয়েছে। কিন্তু অভিযোগে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই হোস্টেল ও স্কুল থেকে লিভ সার্টিফিকেট নিয়েছি।
গুরুকুলের অধ্যক্ষ রঞ্জনাবেন মাজিঠিয়া জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। এই গুরুকুল ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত কোনও ঘটনা ঘটেনি, ভবিষ্যতেও ঘটবে না। রঞ্জনাবেন জানান, মেয়েটিকে তার বাবা-মা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গুরুকুলে ভর্তি করেছিলেন। গুরুকুলের পরিবেশের সঙ্গে মেয়েটি মানাতে পারেনি। এই কারণেই গুরুকুল সম্পর্কে ভিত্তিহীন কুৎসা রটাচ্ছে মেয়েটি ও তার বাবা-মা