পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আর্থিক তছরূপের অভিযোগে আপ নেতার বাড়িতে ইডি। মঙ্গলবার আম আদমি দলের বিধায়ক আমানাতুল্লাহ খানের বাড়িতে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার আধিকারিকেরা। মঙ্গলবার ভোর থেকে আপ বিধায়কের বাড়িতে চলে তল্লাশি অভিযান।
প্রসঙ্গত, ৪৯ বছর বয়সী আমানাতুল্লাহ খান ওখলা কেন্দ্রের বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডে নিয়োগের দুর্নীতির হয়েছে তাঁর সময়কালে। সেই দুর্নীতি মামলাতেই নাম জড়িয়েছে আপ বিধায়কের। আমানাতুল্লাহর বিরুদ্ধে, সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে অবৈধ ভাবে অন্তত ৩২ জনকে নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লির এসিবি আমানাতুল্লা খানকে গ্রেফতার করে। এসিবি বিবৃতিতে জানায়, দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে, আমানতুল্লাহ খান দুর্নীতি ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে বোর্ডের বেশ কয়েকটি সম্পত্তি অবৈধভাবে ভাড়া দিয়েছিলেন।
দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের তৎকালীন সিইও স্পষ্টভাবে বিবৃতি দিয়ে, এই ধরনের অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি জারি করেছিলেন। আরও অভিযোগ করা হয়েছে, যে তিনি দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের তহবিল অপব্যবহার করেছেন, যার মধ্যে দিল্লি সরকারের সহায়তা অনুদান রয়েছে।
দিন কয়েক আগেই দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন আপ নেতা সঞ্জয় সিং। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক কোম্পানির আর্থিক তছরূপ মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। এর আগে দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া, গ্রেফতার হয়েছেন সত্যেন্দ্র জৈন।