পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: বসিরহাট মহকুমার গুরুত্বপূর্ণ শিল্প গুলির মধ্যে রয়েছে ইটভাটা। এই মহকুমায় ৫৩৫ টি ইটভাটায় প্রায় লক্ষাধিক শ্রমিক এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তারসঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। চা দোকানদার থেকে শুরু করে সবজি বাজার, মুদিখানা সবাই এই ইটভাটা গুলির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু ইটের বাজার মূল্য না থাকার পাশাপাশি উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রায় বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল ইটভাটা গুলি।
মালিকপক্ষের ব্যবসায়ী অসিত ঘোষ ও রানা দাস বলেন, একদিকে কয়লার দাম দ্বিগুণ হয়েছে, অন্যদিকে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় গাড়ি ভাড়া বেড়েছে। যার কারণে আগে যে ইট তৈরি করতে ৫ টাকা থেকে ৬ টাকা খরচ হতো এখন বেড়ে তা দ্বিগুণ হয়েছে। পাশাপাশি শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিতে গিয়ে যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ ব্যবসায়ীদের কপালে। পাশাপাশি যেসব ইট মজুদ করা রয়েছে ভাটায় সেগুলো অতিরিক্ত দামের কারণে বিক্রি হচ্ছে না। তাই ইদানীংকালে ভাটায় তৈরি ইট পড়ে রয়েছে। গত তিনমাস ইটভাটা বন্ধ হওয়ার ফলে, ইটভাটার সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা ইতিমধ্যে এই শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্য কাজে চলে যাচ্ছে। পাশাপাশি এই নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের কপালে।
বসিরহাট মহকুমা শাসকের দফতরে স্বয়ং মহকুমা শাসক মৌসম মুখার্জির উপস্থিতিতে ইটভাটার মালিক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শ্রমিকদের নিয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে মালিকপক্ষকে ইটভাটা খোলার জন্য। যার কারণে এরসঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের মধ্যে খুশির হাওয়া।
বসিরহাট আইএনটিটিইউসির টাউন সভাপতি ভাস্কর মিত্র বলেন, করোনা মহামারী কালে বহু শিল্পের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করছেন এই শিল্পকে বাঁচাতে। এই ভাটা শিল্প একমাত্র বসিরহাটের মানুষের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে একটা প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছে, সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে খুব শীঘ্রই ভাটা খোলার আশ্বাস দিয়েছেন মালিকরা। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে রীতিমতো খুশির হাওয়া শ্রমিক মহলে।