পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : জসীমউদ্দীনের কবর কবিতা পড়তে গেলে গলা ধরে আসে না এমন বোধকরি কেউ নেই। কবিতাটি এই বৃদ্ধ যেভাবে পড়লেন, তাতে চোখে পানি ধরে রাখা সত্যিই মুশকিল। না শুনলে মিস করবেন। কি অসাধারণ ভঙ্গি। কি সুন্দর উচ্চারণ। এটি সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ। কাজ করছেন বাগানে। কাজ করতে করতে পড়ছেন পল্লী কবির কবিতা। এই কবিতা শুনে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি নেটিজেনরা। চোখের জল ধরে
রাখতে পারেননি অনেকেই। প্রশংসায় ভরে দিয়েছেন তাঁরা।
এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে
জসীমউদ্দীনের এই কবিতা পড়ে বুক ফাটেনা এমন কেউ নেই। নাম না জানা এই বৃদ্ধ যখন দুচোখ ভাসিয়ে কবিতাটি পড়ছেন তখন মনে হচ্ছে জসীমউদ্দীন যেন ঠিক এই বৃদ্ধকে সামনে রেখেই লিখেছিলেন এই ওমর কবিতাটি।
নদীর কুলু কুলু আওয়াজের সঙ্গে নৌকার মাঝির কণ্ঠে ভাটিয়ালি ভেসে আসে, তা শুনতে অপরূপ লাগে।তার মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ততা ফুটে ওঠে।এখানে বৃদ্ধর কবিতাও তেমন। এখানেই সবটাই স্বতঃস্ফূর্ত। বানানো নয়। আবেগে যেন গলা নিংড়ে বের হয়েছে। যেন বৃদ্ধ নিজেই কাটিয়েছেন এমন দুঃসহ জীবন। নেট দুনিয়ায় ব্যাপক চর্চা চলছে বাংলাদেশী এই বৃদ্ধকে নিয়ে।